ভালোবাসলে ভালোবাসা পাবে
মোহাঃ বেলালউদ্দিন মন্ডল
রসুলপুর গ্রামে মা হারা একমাত্র কন্যাকে নিয়ে শিক্ষক অনুপ চৌধুরী বসবাস করতেন।মা হারা মেয়েকে অতি আদর যত্নে মানুষ করে তুলার চেষ্টা করতে থাকেন।দেখতে দেখতে মেয়ের বিবাহের উপযুক্ত হয়ে উঠলো।বাবা দেখে শুনে এক মস্তো বড়ো ইঞ্জিনিয়ার এর সঙ্গে বিবাহ দিয়ে দিলেন।বিবাহের পরে শশুর শাশুড়ির সঙ্গে বসবাস করতে বাড়ির বেশ কিছু কাজ করতে হতে লাগলো।এতে মেয়েটি ভাবতে লাগলো তাকে তার শশুর শাশুড়ি ভালো বাসেনা। তাই মেয়েটি বাবার বাড়ি গিয়ে তার বাবাকে বললো বাবা আমার শশুর শাশুড়ি আমাকে ভালো বাসে না ।তুমি এমন ঔষুধ দাও না যাতে আমার শশুর শাশুড়ি মারা যাবে তাড়াতাড়ি।বাবা ভেবে বললো ঠিক আছে দিচ্ছি, বলে কিছুক্ষন পরে একটি ঔষুধ এনে দিলো ।আর বললো সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত শশুর শাশুড়িকে তিন মাস যত্ন করে খাওয়াবে গল্প করবে পাশে বসে বসে দেখবে তিন মাস পরে তারা দুইজনে মারা যাবে। এই শুনে মেয়ে আনন্দে বাড়ি চলে গেল।এবার কথা মতো শশুর শাশুড়িকে আদর যত্ন করে খাওয়াতে শুরু করলো ।দেখতে দেখতে তাদের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্কের বন্ধন তৈরি হয়ে উঠলো। তারা যেন ভুলে গেল কে শশুর কে শাশুড়ি ,বাবা ,মা ও মেয়ের সম্পর্কে পরিণত হয়ে গেল। তখন মেয়ে ছুটে নিজ বাবার বাড়ি এসে বললো ,বাবা ভুল হয়ে গেছে আমার শশুর শাশুড়ি খুব ভালো মানুষ কোনো ঔষুধ দিয়ে ওদের তুমি বাঁচিয়ে নাও।তখন বাবা বললো অনেক দেরি হয়ে গেছে তবে কাল বলবো। মেয়ে বেশ চিন্তায় পড়ে গেলো সে কাছের মানুষ গুলিকে হারবো বুঝি।ঠিক পরের দিন বাবাকে বললো কই বাবা ঔষুধ টা দাও তা না হলে আমার শশুর শাশুড়ি মারা যাবে যে। বাবা হেসে বললো আরে তোমাকে আমি যে ঔষুধ টা দিয়ে ছিলাম সেটা বিষ ছিলোনা ।আসলে সেটা ভিটামিন ঔষুধ ছিলো যাতে তোমার শশুর শাশুড়ি আরো সুস্থ হয়ে ওঠে । আর তিনমাস সময় দিয়ে ছিলাম কারন মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যাবহার করলে সে ও ভালো ব্যাবহার করবে। আর তোমার ব্যাবহারে তুমি নিজের ভুল নিজে বুঝতে পারবে।তুমি কাওকে ভালোবাসলে সেও তোমাকে ভালোবাসবে।আরে মেয়ে মুখে বললে হয় না ভালো ব্যবহার করে বুঝিয়ে দিতে হয় তুমি তাদের ভালোবাসো।