বাংলাদেশে গ্রামীণফোনের বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত


মঙ্গলবার,০৩/০৯/২০১৯
1221

মিজান রহমান, ঢাকা: দেশের শীর্ষ নেটওয়ার্ক কোম্পানি গ্রামীণফোনের শেয়ারের দরপতন আগের মতই অব্যাহত আছে। গত পাঁচ মাসে এ কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা হারিয়েছেন প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা হারিয়েছেন ১৩ হাজার কোটি টাকা। প্রাতিষ্ঠানিক, সাধারণ ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। গ্রামীণফোনের এমন একটানা দরপতনে এ কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের এখন মাথায় হাত দেয়ার মত অবস্থা। টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ রেগুলেটরি কমিশন যখন গ্রামীণফোনের কাছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা পাওনা দাবি করে তখন থেকেই এই দরপতন শুরু হয়। দিনদিন এ কোম্পানির শেয়ার দাম কমে এখন তলানিতে ঠেকেছে। গ্রামীণফোনের শেয়ারের এমন দশার কারণে শেয়ারবাজারেও এরইমধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এর প্রভাবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে প্রতিনিয়ত পুঁজি হারিয়ে পথে বসছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী।

এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, বর্তমানে শেয়ারবাজারে সবচেয়ে আতঙ্কের খবর গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির পাওনা টাকা দাবি করা। গ্রামীণফোন শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি। বিটিআরসি থেকে কোম্পানিটির কাছে আকস্মিক ও বিলম্বিত পাওনা দাবির ফলে শেয়ারটির পতন হচ্ছে, যা ওই কোম্পানির বিনিয়োগকারীসহ সার্বিক শেয়ারবাজারকে ক্ষতির মুখে ফেলেছে। বিটিআরসি থেকে পাওনা টাকা দাবির আগের দিন শেয়ার দর ছিল ৪১৭ টাকা। অন্যদিকে দাবি করার দিন থেকেই গ্রামীণফোনের শেয়ার দাম কমতে থাকে। অব্যাহত দরপতনের কারণে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে এখন ৩১০ টাকায়।

গত পাঁচ মাসে গ্রামীণফোনের শেয়ারে বিনিয়োগ করে বিদেশিরা হারিয়েছেন ৫৬৯ কোটি ২৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছেন ৫৬৬ কোটি ৩৬ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছেন ৩০৯ কোটি ১৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা। গ্রামীণফোনের কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করতে না পেরে এখন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার। কোম্পানিটির লাইসেন্স বাতিলের মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, গ্রামীণফোনের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে এরই মধ্যে নোটিশ পাঠাতে বিটিআরসিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

Affiliate Link Earn Money from IndiaMART Affiliate

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট