এই মনোভাব কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানান মুখ্যমন্ত্রী


মঙ্গলবার,২০/০৮/২০১৯
1190

বাম জমানায় মাত্র চার হাজার টাকা মাত্র বেতন পেতেন প্যারা টিচাররা কিন্তু তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে সেই বেতন 10 হাজার টাকা করেছে বর্তমান সরকার কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা ক্লাস বয়কট করে কালো ব্যাজ পড়ে পথে বসে আন্দোলন করছেন। এই মনোভাব কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানান মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার হাওড়া সদনে প্রশাসনিক বৈঠক এ পার্শ্ব শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কথায় বছর সাতেক আগে প্যারা টিচারদের বেতন ছিল মাত্র চার হাজার টাকা কিন্তু গত বছর তা রাজ্য সরকার বাড়িয়ে করেছে 10 হাজার টাকা। বর্তমানে আর বেতন বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। যদি এর চেয়েও বেশি বেতন দরকার হয় তবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সেই দাবি করুন। যেন তারা এই রাজ্যে একটা রিজার্ভ ব্যাংক করে দেন।

এর পাশাপাশি তিনি বলেন সরকার মানবিক তাই এই রাজ্যে এখনো অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের পেনশন দেওয়া হয়।সমগ্র দেশের দিকে তাকান তাহলে দেখা যাবে রাজ্য সরকার পেনশন তুলে দিয়েছে কিন্তু এই রাজ্যে 56 হাজার কোটি টাকার দেনা মিটিয়ে পেনশন দিচ্ছে রাজ্য সরকার।এই মন্তব্যের পাশাপাশি হাওড়া শহরের একাধিক সমস্যা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই বৈঠকে যোগ দিতে আসার আগে 29 নম্বর ওয়ার্ডের পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বস্তি পরিদর্শনের পর প্রচন্ড ক্ষুব্দ হয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। যার ক্ষোভ তিনি উগরে দেন প্রশাসনিক বৈঠকে। তিনি প্রশ্ন করেন শহরের বস্তি গুলির এখনো পর্যন্ত কেন উন্নয়ন সম্পন্ন হয়নি। পানীয় জল থেকে শুরু করে নিকাশি এমনকি শৌচাগারের ব্যবস্থা বেহাল।অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান চাই কারণ ওই বস্তিতে বসবাস করেন প্রায় 400 টি পরিবার যারা ব্যবহার করেন মাত্র দুটি শৌচাগার।

কেন সেখানে শৌচাগার নির্মাণ হয়নি সে বিষয়ে তিনি প্রশ্ন করেন হাওড়া পৌর নিগমের কমিশনার বিজয় কৃষ্ণ কে। এরপর উঠে আসে ওলা বিবি তলা বুস্টার পাম্পিং স্টেশন এর কথাও।এ বিষয়ে কার্যত প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী কে ভৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।তিনি বলেন সরকারের অনুমতি ছাড়া কেন এই পাম্পিং স্টেশন এর কাজ শুরু হয়েছিল। অর্থ দপ্তরের অনুমতি ছাড়া পুরো এলাকায় 419 জন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের কথা কেউ প্রাক্তন মেয়র কে ভৎসনা করেন তিনি। এরপরই রাজ্যেরপুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে তিনি কড়া নির্দেশ দিয়ে বলেন হাওড়া পুরসভার অডিট অবিলম্বে করতে হবে অর্থ দপ্তরের অনুমতি ছাড়া কেউ যদি কোন কাজ করে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে। এছাড়াও গুরুতর ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে প্রয়োজনে। তিনি বলেন আমি নিজে মুখ্যমন্ত্রী হয়েও অর্থ দপ্তরের অনুমতি ছাড়া কোনো কাজ করি না তাহলে হাওড়া পুরনিগম কেন তা করবে। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন ববি হাকিম, অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এনাদের নিয়ে ও পুরসভার কমিশনার বিজিনকৃষ্ণা ও জেলাশাসক মুক্তা আর্য কে নিয়ে একটি টাস্কফোর্স তৈরি করা হবে। যে টাস্কফোর্স রাস্তায় ঘুরে নাগরিক পরিষেবা উন্নতির দিকে জোর দেবে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট