রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের পক্ষ থেকে রাজভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস কর্মীদের এক পাও এগোতে দিল না পুলিশ। ধর্মতলা টিপু সুলতান মসজিদের সামনেই আটকে দিল কংগ্রেস কর্মীদে। আর পুলিশের বাধা টপকাতে গিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল অশান্তি।
কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের রাজভবন অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটল ধর্মতলায়।
এদিন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া সন্ত্রাস ও আইন শৃঙ্খলা অবনতির প্রতিবাদে রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেল। ধর্মতলা টিপু সুলতান মসজিদের সামনে জমায়েত হয়ে মিছিল করে রাজভবনের উদ্দেশ্যে যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিলো তারা। কিন্তু পুলিশ ব্যারিকেড করে জমায়েত স্থলেই আটকে দেয় কংগ্রেস কর্মীদের। আন্দোলনকারীরা জোর করে ব্যারিকেড ভেঙে রাজভবনের উদ্দেশ্যে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। সেন্ট্রাল এভিনিউ এ বসে পড়েন বহু কংগ্রেস কর্মী। পুলিশ আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করতে গেলে রণক্ষেত্রে চেহারা নাই ধর্মতলা চত্বর।
এ দিনের কর্মসূচিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, সংখ্যালঘু সেল এর চেয়ারম্যান মিল্টন রশিদ, শুভঙ্কর সরকার, শংকর মালাকার, আব্দুস সাত্তার সহ শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করেন। এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “দিদিকে বলো” কর্মসূচিরও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সোমেন বাবু।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের এদিনের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস কর্মীরা। এ দিনের কর্মসূচি থেকে ভাটপাড়া – কাকিনাড়া এলাকায় শান্তি না ফেরার জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ি করেন কংগ্রেস নেতারা।