হাওড়া – আমতা: ভূগর্ভস্থ জলের ভাণ্ডার যখন ক্রমশ কমে আসছে তখন সারা পৃথিবী জুড়ে জল সংকট তীব্র আকার ধারন করছে। অথচ এই জল ভান্ডারকে কিভাবে সংরক্ষিত করে অপচয় এর হাত থেকে বাঁচানো যায় তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো সচেতনতা বড়ই অভাব রয়েছে। তারই জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হলো হাওড়া গ্রামীনের আমতার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার টাইম কল গুলি। বহু টাইম কল দিয়েই প্রয়োজন থাক বা না থাক দেদার জল পড়ে যাচ্ছে। সারাদিনে সকাল, দুপুর, বিকেল তিন বার এই কল গুলিতে জল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু কলের মাথাভাঙ্গা থাকায় তা বন্ধ করা যায় না। ফলে যতক্ষন জল সরবরাহ পরিষেবা চালু থাকে ততক্ষনই কলের মুখ দিয়ে জল পড়ে যায়।আমতা সিরাজবাটি গ্রাম পঞ্চায়েত আঢ্যি পাড়া,মজিদতলা সহ বেশ কয়েকটি কলের মাথা ভাঙা থাকার দরুন তা কখনওই জল বন্ধ করা যায় না। এলাকাবাসীরও এ বিষয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই।
আমতা-১ নং ব্লকের পি,এইচ,ই দিনে তিন দফায় তিন ঘন্টা জল সরবরাহ করে। সেই জলের ৬০ শতাংশ জল অপচয় হয় এমনই অভিযোগ পঞ্চায়েত এলাকার মানুষদের। বহু কলের মুখ নেই কোথাও আবার মুখ থাকলেও বন্ধ করা হচ্ছে না। বহু বাড়ির ট্যাঙ্ক উপচে জল নষ্টের চিত্র প্রতিদিনের।পঞ্চায়েতেরও বিষয়টি সম্পর্কে কোন নজর নেই । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিয়োগী পাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, কলের মুখ তো বহুদিন থেকেই ভাঙ্গা, সারাদিনই জল পড়ে যাচ্ছে। আমরা কি করতে পারি।তবে বিষয়টি তাঁরা পঞ্চায়েত বা ব্লক প্রশাসনকে জানান নি।তন্ময় রায় নামে আরও এক বাসিন্দার বক্তব্য, জল সকলেরই প্রয়োজন তাই সকলের আগে মানুষকে সচেতন হতে হবে। কল যদি কেউ খোলা রেখে চলে যায় তাকে বলতে হবে কল বন্ধ করার জন্য। পাশাপাশি এই জল সরবরাহ ব্যবস্থার দেখাশোনার দায়িত্ব যাঁদের উপর তাদেরকেও দেখতে হবে জল যাতে করে অপচয় না হয়। আমতা-১ নং বিডিও লোকনাথ সরকার এবিষয়ে জানান, উলুবেড়িয়া অ্যাসিস্টেন্ট পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ার বলা হয়েছে। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।