বধূ হত্যায় বারুইপুর মহকুমা আদালতে 3 জনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করলো বিচারক


শুক্রবার,২৬/০৭/২০১৯
603

বারুইপুর: স্ত্রী সোমা দেবী হাত স্বামী জগদিশ মিদ্যা গায়ে লাগায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত স্ত্রীকে মারে স্বামী। রাতে সংজ্ঞাহীন হয়ে যাবার পর পরের দিন সকালে একটা অটো করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে শাশুড়ি গীতা দেবি স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে ননদ রুপা দেবী তার পা চেপে ধরেন এবং স্বামী নিজে গ্লাসের মধ্যে বিষ মিশিয়ে স্ত্রীর গালে ঢেলে দেয়। তারপরে জয়নগরে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় সোমা দেবীকে।সেখানের ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর সোমা দেবী মারা যায়। ঘটনাটি ঘটে জয়নগর থানার বাগানি আবাদে ১১,১০, ২০১০ তারিখে।
সোমা দেবীর বাবা জয়নগর থানায় জামাই জগদিশ মিদ্যা, ভাই জগবন্ধু মিদ্যা, শাশুড়ি গীতা মিদ্যা, শশুর চিত্র রঞ্জন মিধ্যা ও ননদ রুপা মিদ্যা এই 5 জনের নামে এফ আই আর করে। জয়নগর থানার পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে বারুইপুর মহকুমা আদালত থেকে জামিন নেয় এই পাঁচ জন। 2013 সাল থেকে এই কেসের ট্রায়েল চলে।

11 জন সাক্ষী এই কেসে বারুইপুর আদালতে সাক্ষ্য দেয়। তার মধ্যে সোমা দেবীর ছয় বছরের ছেলে সাক্ষ্য দেয়।চিত্তরঞ্জন মিদ্যা ও জগবন্ধু মিদ্যা কে বেকসুর খালাস পায়। জগদীশ মিথ্যা, রূপা মিদ্যাও গীতা মিদ্যাকে গতকাল বারুইপুর মহকুমা আদালত দোসী সাবস্ত করে সেশন জার্জ ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বিচারক রমেন্দ্র নাথ মাখাল। আজ সাজা ঘোষণা করেন বিচারক আইপিসি 498 এ ও 302 ধারায় তিন জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করা হয় ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট