কলকাতা : আগামী ১৫ ই আগস্ট থেকে ১৮ ই আগস্ট পর্যন্ত সম্পূর্ণ যান চলাচল বন্ধ থাকবে শিয়ালদহের বিদ্যাপতি সেতুতে। ওই সেতুর স্বাস্থ্যের হাল হকিকত যাচাই করার জন্যই যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার এই সিদ্ধান্ত। কে এম ডি এর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে গঠন করা হয়েছে সেতু বিশেষজ্ঞ কমিটি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সব সেতু গুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার কার চালাচ্ছেন ওই বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা। ইতিমধ্যেই কালীঘাট ব্রিজ বন্ধ রেখে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হতে চলেছে শিয়ালদহের বিদ্যাপতি সেতুর। কলকাতা শহরের নটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর স্বাস্থ্য বেহাল বলে ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে উঠে এসেছে। ওইসব সেতু গুলির হাল ফেরানোর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। এইসব সেতুগুলো স্বাস্থ্য কতটা বেহাল সবার আগে তা পরীক্ষা করে দেখবেন বিশেষজ্ঞ কমিটি। তারপরেই সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে। এমনিতেই কলকাতায় সেতু আতঙ্ক সাধারণ মানুষকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। নির্মীয়মান পোস্তা ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনা কিংবা মাজেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনার পর থেকেই সেতু আতঙ্ক যেন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি উল্টোডাঙ্গা ব্রিজে ফাটল ধরা পড়ে। সেই জন্য উল্টোডাঙ্গা ব্রিজের একটি লিঙ্ক এখনো পর্যন্ত বন্ধ রেখে সংস্কারের কাজ চালানো হচ্ছে।
শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা শিয়ালদহ। শিয়ালদহ রেল স্টেশনে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন। সে কারণে বিদ্যাপতি সেতুর উপর চাপ অনেকটাই বেশি। প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন বিদ্যাপতি সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করে। এই সেতুর যান চলাচল বন্ধ করলে চরম জ্যামের সম্ভাবনা রয়েছে শহরে। কিন্তু সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়েছে এই সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করার। আর তাই কে এম ডি এ -র পক্ষ থেকে ট্রাফিক কর্তাদের সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সেতুর পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ শেষ হওয়ার পর সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে সূত্রের খবর। আর সে ক্ষেত্রে এই সেতুর নিচে থাকা শিশির মার্কেটের দোকানদারদের উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটের দোকানদারদের কোথায় সরানো হবে তা নিয়েও নানা মহলে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পুনর্বাসন ছাড়া তাদেরকে সরানোর সিদ্ধান্ত হলে তারা জায়গা ছাড়বেন না। শিশির মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে এই ব্রিজ সংস্কার করার প্রয়োজন পরলে এক একটা পার্টে সংস্কার করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সব দোকানদারদের সরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। সাময়িকভাবে কিছু দোকানদারকে সরিয়ে সেই কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আবার তাদের ফিরিয়ে আনা যাবে। এখন দেখার এই ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সংস্কারের কাজ কোন পথে মসৃণ হয়।