সালমান এফ রহমানের হাত ধরে নিশ্চিত হচ্ছে দেশের উন্নয়ন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে। উন্নয়নের ধারা আগে থেকেই সচল ছিল, গত বছরের নির্বাচনের পর তা বেগবান হয়েছে। দেশবরেণ্য ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান দোহার নবাবগঞ্জ থেকে সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপদেষ্টা পরিষদে সালমান এফ রহমানের অন্তর্ভুক্তি খুবই যৌক্তিক ছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ যে অল্পসংখ্যক ব্যবসায়ী এগিয়ে এসেছেন অর্থনীতির হাল ধরতে, সালমান এফ রহমান তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি দেশের সর্ববৃহৎ ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার। তিনি একই সাথে বেক্সিমকো গ্রুপ এবং দেশের বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তার হাত ধরে বেসরকারি খাত অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

আশা করা যায় প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা হিসেবে দেশের অর্থনীতিকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবার সুযোগ পাবেন সালমান এফ রহমান। সিরামিক শিল্প, ঔষধ শিল্্ তৈরি পোশাক শিল্প এবং কৃষি খাত সালমান এফ রহমানের হাত ধরে অগ্রগামী হবে আশা করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনি অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছেন যার ফলে এসব খাত খাতের উন্নয়ন বেগবান হয়েছে বেগবান হয়েছে।

একই সাথে সালমানের সম্মান চেষ্টা করছেন বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে। দেশের অর্থনীতি অনেকটা নির্ভর করে বৈদেশিক বিনিয়োগের উপর। বৈদেশিক বিনিয়োগ একাধারে দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। সেজন্য সালমান এফ রহমান বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সাথে সভা করছেন এবং তাদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ। এর আগের বছর এটা ছিল ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। এই সংখ্যাগুলো ইঙ্গিত দেয় বাংলাদেশে সঠিক পথে রয়েছে। এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরো বাড়বে যদি দেশের রপ্তানি বাড়ানো যায়। সালমান এফ রহমান এখন সেই প্রয়াসেই কাজ করে যাচ্ছেন।

একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে একজন সফল পরিকল্পনাকারী হিসেবে, একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা হিসেবে সালমান এফ রহমান সুযোগ পেয়েছেন দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করার। ইতিমধ্যে তিনি অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন যার সুফল আসতে শুরু করেছে। আশা করা যায় এভাবে এগিয়ে যেতে থাকলে বাংলাদেশ অচিরেই বিশ্ব মানচিত্রে একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।