ভোপাল: ভোপালে এক নাবালিকাকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বাবা-ছেলে-সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে। ১৬ মাস ধরে চরম অত্যাচারের পর মেয়েটি সাহস জুটিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানানোয় সব অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। সময়টি ছিল ২০১৮ সালের মার্চ মাস। তখন মেয়েটির বয়স ছিল ১৫ বছর। সে তখন ক্লাস নাইনে পড়ত। তার মা মারা যাওয়ার পর সে পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। তার বাবা একটি বহুতলে ওয়াচম্যানের কাজ করতেন। এক কেটারিং কন্ট্রাক্টর ওই কিশোরীকে টাকার বিনিময়ে বাড়ির বাচ্চাদের দেখাশোনার জন্য ডেকে আনত। কিছুদিন পর থেকেই সে মেয়েটিকে ধর্ষণ করতে শুরু করে পর্নোগ্রাফি দেখিয়ে। বেশ কিছুদিন এ ভাবেই চলতে থাকে ।
অভিযুক্রের ২৩ বছরের ছেলে এ বিষয় জানতে পারে এবং সবাইকে এ বিষয়ে বলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মেয়েটিকে যৌন নিগ্রহ শুরু করে। কয়েক সপ্তাহ পর মেয়েটি অভিযুক্তের ১৬ বছরের ভাইপোর কাছ থেকে একটি ফোন জোগার করে তার স্কুলের এক বন্ধুর সাহায্য চায়। কিন্তু সাহায্য তো দুরের কথা, সে-ও বাবাকে বলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে বলে জানা গেছে। এই অপরাধে সামিল হয় ছেলেটির ভাই-ও। আরও দু জন প্রতিবেশী বিষয়টি জানতে পারলে তারাও এই সুযোগে নাবালিকাকে ধর্ষণ করতে শুরু করে। অবশেষে মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত মেয়েটি তার বাবাকে সব কথা খুলে বলে এবং তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। টুকোগঞ্জ থানার ইন-চার্জ তহজিব কাজি জানান, ‘অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে ৫০ বছরের কেটারিং কন্ট্রাক্টর, তার ছেলে ও ১৬ এবং ১৮ বছরের দুই ভাইপো।’