পশ্চিম মেদিনীপুর : কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ। গাইনোকলজিস্ট ছাড়াই চলছে প্রসূতি বিভাগ। এরই প্রতিবাদে আজ জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ সাইফুলের নেতৃত্বে কেশপুরের বিএমওএইচ-কে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত এক বছরে 1717টি ডেলিভারি হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, মেদিনীপুর মেডিক্যাল বাদ দিলে, জেলার আর 5টা হাসপাতালের চেয়ে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে গড় ডেলিভারির সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু সেই তুলনায় চিকিৎসক নেই। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নাকি গাইনোকলজিস্টও নেই! এই অব্যবস্থার জের পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার রোগীকে। কেশপুর যুব কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, দ্রুত হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। রোগী ও চিকিৎসকের অনুপাত ঠিক করতে হবে। বেডের সংখ্যা 30-এর চেয়ে আরও বাড়াতে হবে।
জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ সাইফুলের দাবি, কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতাল, আদতে ডেবরা সুপার স্পেশালিটির চেয়েও ব্যস্ত, তাই রোগীদের স্বার্থে এই হাসপাতালকে সুপার স্পেশালিটিতে উন্নীত করতে হবে। সাইফুলের মন্তব্য, কেশপুরকে শুধু রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করে, মানুষ যাতে ভাল থাকে, সেই চেষ্টা করতে হবে। যা করছে যুব কংগ্রেস।