নিজস্ব প্রতিনিধি, ভাঙড় : কে কত টাকা কাটমানি নিয়েছে তা নিয়ে এবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জমা করতে রিতিমত পাল্লা দিচ্ছে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে শুরু করে আমজনতা।চলছে একে অপরের বিরুদ্ধে কাঁদা ছোঁড়া ছুড়ি। এই অভিযোগ গ্রহণ করতে প্রশাসনের দৈনন্দিন কাজ কার্যত লাঠে উঠেছে, তদন্ত তো দূরস্ত।
কাটমানি ফেরতে দলনেত্রীর কড়া হুশিয়ারির পর বিগত কয়েক দিন ধরে পালা করে একে অপরের বিরুদ্ধে কাটমানির নেওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছে ভাঙড়ের বিভিন্ন থানা সহ বিডিও অফিসে।মূলত ভাঙড়ের বিধায়ক তথা মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার পুত্র সহ আরাবুল পুত্রের পর কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয় তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ ঘনিষ্ঠ পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। এবার কাইজার অনুগামীরা পাল্টা কাটমানির অভিযোগ দায়ের করলেন। অভিযোগ, গত দুই দিন আগে যে সইদুল চৌধুরী সাইহাটি গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী তথা এলাকার তৃণমূল নেতা রাহান মুন্সির নামে যে সব অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তা মিথ্যা, চক্রান্ত করে করেছেন।
কেননা ওই বুথের সুপারভাইজার সইদুল চৌধুরী নিজে, সে এলাকায় মানুষ কে ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কারো কাছ থেকে কুড়ি হাজার আবার কারো কাছ থেকে তিরিশ হাজার টাকা কাটমানি নিয়েছে। এমনকি একশো দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে অভিযোগ কারি আলিম মুন্সি বলেন, “এই সইদুল চৌধুরী আমাদের বুথের সুপারভাইজার আবার যুব তৃণমূল করে, আমার সরকারি ঘরের টাকা থেকে তিন কিস্তিতে কুড়ি হাজার টাকা নিয়েছে।” একই অভিযোগ করেন মোজাম পিয়াদা নামে সাইহাটি গ্রামের এক বৃদ্ধ মানুষ।যদিও তার কাছ থেকে আবার তিরিশ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে শেষ আজিজুর রহমান ওই বুথের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি বলেন,” সইদুল চৌধুরী, আলাউদ্দিন, আখের আলি এরা গ্রামে যুব তৃণমূল করে। সওকাত মোল্লা, সাজাহান মোল্লার ছত্রছায়ায় থেকে ওরা গ্রামে ঘর দেওয়ার, একশো দিনের প্রকল্প থেকে মানুষের কাছ থেকে প্রচুর কাটমানি নিয়েছে।”
অপরদিকে এদিন আবার ভাঙড় ১ নং ব্লকে রাহান মুন্সির বিরুদ্ধে ঘরের টাকা থেকে কাটমানি নেওয়ার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কাজী ইউনুস,কাজী আনসার আলি। তাঁরা বলেন,” আমরা বাংলা আবস যোজনার ঘর পেয়েছি কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী রাহান মুন্সি কুড়ি হাজার টাকা করে নিয়েছে। সেই টাকা ফেরৎ পাওয়ার জন বিডিও অফিসে অভিযোগ করেছি।”এ বিষয়ে ভাঙড় ভাঙড় ১ এ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস এর সভাপতি কাইজার আহমেদ বলেন, “অভিযোগ জমা পড়েছে শুনেছি, অভিযোগ প্রমাণিত হলে দলগত ভাবে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।”