নিজস্ব প্রতিনিধি, সোনারপুর : বহুতল আবাসনের ৫ তলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হল এক যুবক। সোমবার সকালেই এই ঘটনা ঘটে সোনারপুরের নরেন্দ্রপুরের একটি নামী বহুতল আবাসনে। তবে কি কারনে ওই যুবক এই কান্ড ঘটিয়েছে তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। মৃত যুবকের নাম আজাহারউদ্দিন মণ্ডল (২৬)। তার বাড়ি নরেন্দ্রপুরের পাইক পাড়াতে। ওই বহুতলে গাড়ি ধোয়ার কাজে প্রতিদিন আসত আজাহারউদ্দিন। এদিনও সকাল সাড়ে ৪ টে নাগাদ আজাহারউদ্দিন কাজে এসেছিল। কিন্তু গেট না খোলায় বহুতলের মেন গেটের বাইরে বসে ছিল। তারপর গেট খোলার পর আজাহারউদ্দিন ভিতরে ঢোকে এবং গাড়ি ধোয়ার কাজ করতে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যেখানে প্রতিদিন গাড়ি ধুতো সেখানে না গিয়ে এদিন ওই যুবক ‘ডি’ ব্লকে চলে যায়।
সেখানেই একটি বহুতলের ছাদে উঠে পড়ে। তারপর নিজের চটি জুতা খুলে রাখে ছাদে। সেখান থেকেই নিচে ঝাঁপ দেয়। সকালে ৬ টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। আচমকাই একটি ভারী কিছু নিচে পরার আওয়াজে বহুতলের নিরাপত্তারক্ষীরা ছুটে আসেন। আবাসিকরাও বেরিয়ে পড়েন। সকলেই দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রেয়েছে ওই যুবক। সোনারপুর থানায় খবর দেন আবাসিকরা। পুলিশে এসে দেহ উদ্ধার করে সুভাষগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। কিন্তু যুবকের পরিবারের লোকজন কেন ওই যুবক আত্মঘাতী হল তা বলতে পারছেন না। এলাকার মানুষ জানান, খুবই শান্ত এবং ভাল ছেলে ছিল আজাহারউদ্দিন। কোন নেশা পর্যন্ত করত না।
তবে কয়েক মাস আগে তার সঙ্গে বারুইপুরের কুমারহাটের একটি মেয়ের রেজিষ্ট্রি বিয়ে হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যেই ওই বউয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে তার বাড়িতে আসার কথা রয়েছে। তার মধ্যেই এই ঘটনা। তবে আজাহারউদ্দিনের পরিবারের দাবি ওই মেয়েটি আজাহারউদ্দিনকে নানাভাবে মানসিক অত্যাচার করছিল। ভাল কাজ ও ফ্ল্যাটে থাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল। আর তা সহ্য করতে না পেরেই আজাহারউদ্দিন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। যদিও পুলিশ জানায় ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতের পরিবার এখনও থানায় কারুর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ জমা করে নি।