হাওড়া,আমতা: পেঁড়ো মান্দারিয়া খালের উপর ঢিলছোড়া দূরত্বে রয়েছে দুটি সেতু। তার মধ্যে একটি সচল, অপরটি অচল। গ্রাম ও শহরের সাথে সংযোগ রক্ষাকারী হিসাবে একটির উপর দিয়ে দুরন্ত গতিতে ছুটছে গাড়িঘোড়া। অপরটি প্রতিবন্ধীর মত ভেঙে খানখান। ভাঙ্গা এই সেতুটি পুনর্নির্মান বিষয়ে এলাকাবাসীরা আশাবাদী ছিল। যত দিন যাচ্ছে ততই নিরাশ হচ্ছে তারা। পেঁড়ো মান্দারিয়া খালের দুই তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের সংযোগের রাস্তা ভেবেই বছর চল্লিশেক আগে তৈরি হয়েছিল সেতুটি। ০০ বছর হল রাত্রি তিনটে নাগাদ আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ে সেতুটি। সেই থেকে পশ্চিম পাড়ের অসংখ্য দোকানদারি প্রায় বেচাকেনা বন্ধ হয়ে পড়ে। বন্ধ হয় দুই পাড়ের উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া আসা। সেতু সংলগ্ন হরিশপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওপারের রোগীরা আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিতে পড়ে।
হতাশ হয়ে পড়েন পূর্ব পাড়ের পেঁড়ো,মানিকুড়া, বসন্তপুর, কানপুর, পুরাশ, চালতা খালির মত অসংখ্য গ্রামের মানুষ। এলাকার লোকজন জানালেন, ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া সেতুটি আগে কাঠের ছিল। কাঠের সেতুটি ভেঙে প্রায় বছর চল্লিশেক আগে কংক্রিটের সেতুটি তৈরি হয়। কিন্তু কি কারণে রাতের অন্ধকারে আচমকা সেতুটি ভেঙে পড়ে তা কারুর জানা নেই। সেতুটি ভেঙে পড়ার পর থেকে কেবলমাত্র বাস, লরি, যানবাহন চলাচল করা উত্তর দিকে সেতুটি উপর চাপ বাড়ে। এই সেতুটিই দুই পাড়ের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হয়ে ওঠে।
প্রায় পাঁচ বছর আগে বকপোতা সেতুতে ফাটল দেখা দেওয়ার দামোদরের উপর জয়নগর ও পেঁড়ো ব্রিজের উপর সমস্ত চাপ পড়ে। ভেঙে যাওয়া সেতুটির পশ্চিম পাড়ের কাছাকাছি এলাকার পঁচিশ বছরের সাইকেল দোকানদার কথায়, দোকানে লোকজন প্রায় আসেই না। টুকিটাকি সাইকেল সারাই। প্রায় বেকারত্বের মতো অবস্থা। সংসার চালানোর পয়সা উঠে না। একি সুর শোনা গেল পাশের মুদিখানার মালিকের ও অন্যান্য ছোট বড় ব্যবসায়ীদের মুখে। কবে যে এই সেতুটি পুনর্নির্মাণ হবে সেই উত্তর কারো জানা নেই।