উত্তর দিনাজপুর: তৃনমূল কংগ্রেস কর্মীদের জোর করে জয় শ্রীরাম বলানোর পাশাপাশি বাপক মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘী থানার সিঙ্গারদহ গ্রামে। বিজেপি ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে। এটা নিছকই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল। আহত পাঁচজন তৃনমূল কর্মীকে প্রথমে করনদিঘী গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের রায়গঞ্জ গর্ভমেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে করনদিঘী থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, করনদিঘীর পূর্ব ফতেপুরের বাসিন্দা তৃনমূল কর্মী মহম্মদ মোক্তার, দিলবার হোসেন সহ পাঁচজন এলাকার একটি পুকুরে মাছ ধরছিলেন। সেইসময় স্থানীয় পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যার স্বামী ও সিঙ্গারদহ গ্রামের বিজেপি কর্মীরা তৃনমূল কংগ্রেস কর্মীদের গরু চুরির অপবাদ দিয়ে তাদের ব্যাপক মারধর করে। অভিযোগ তাদের জোর করে জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্য করে। জয় শ্রীরাম বলতে আপত্তি করলেই চলে বেদম প্রহার। এরপর স্থানীয় বাসিন্দা ও অন্যান্য তৃনমূল কর্মীরা জড়ো হয়ে গেলে পালিয়ে যায় বিজেপি কর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর আহত মহম্মদ মোক্তার ও দিলবার হোসেনসহ মোট পাঁচজন তৃনমূল কর্মীকে প্রথমে করনদিঘী গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করে।
দিলবার হোসেন ও মহম্মদ মোক্তারের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের রায়গঞ্জ গর্ভমেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই ঘটনার সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে করনদিঘী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে করনদিঘী থানার পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। জোর করে জয় শ্রীরাম বলানো ও মারধরের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে করনদিঘীর সিঙ্গারদহ গ্রামে। অপরদিকে ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। এটা নিছকই নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে গন্ডগোল। জয় শ্রীরাম বলা কে গোটা রাজ্যে ওরা এখন ভূত দেখছেন। তাই তারা যে কোন ঘটনাতেই বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। ঘটনার তদন্তে করনদিঘীর থানার পুলিশ।