কলকাতা : জিডি বিড়লার শৌচালয়ে এক ছাত্রীর আত্মহত্যার রেশ এখনও কাটেনি,সেই সাথে সাথে ফের শহরের এক নামী স্কুলের শৌচালয়ে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করল ক্লাস টেনের এক ছাত্রী। তবে স্কুলের কর্তৃপক্ষের তত্পরতায় তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। হতাশাগ্রস্ত ছাত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, কেন সে এমনটা করল? সে জানিয়েছে যে,আমাকে কেউ ভালোবাসে না। আমার জন্য কারও সময়ই নেই। সবাই নিজের কাজে ব্যস্ত মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী স্কুলের শৌচালয়ে ওই ছাত্রী হাতের শিরাকাটে। গত শুক্রবার জিডি বিড়লার ছাত্রী কৃত্তিকা পাল স্কুলের শৌচালয়ে হাতের শিরা কেটে মুখে প্লাস্টিক বেঁধে আত্মহত্যা করে। পরের ঘটনাটিতেও একইভাবে স্কুলের শৌচালয়ে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ছাত্রীটি।
নিজেকে শৌচালয়ে বন্ধ করে ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা কাটে।এই মেয়েটিও কৃত্তিকার মতোই ক্লাস টপার।সূত্রের খবর যে, মঙ্গলবার স্কুলের ওষুধ খায়নি সে। স্কুলের ক্লাস শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর বিকেল ৩টে নাগাদ মেয়েটি শৌচালয়ে যায়। CCTV-র মনিটরিং-এর দায়িত্বে থাকা স্কুলকর্মী যখন লক্ষ করে যে ৬ মিনিট পরেও মেয়েটি শৌচালয় থেকে বেরোচ্ছে না, তিনি ছুটে যান শৌচালয়ে। দরজা ভেঙে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় কিশোরীকে। সৌভাগ্যবশত তার ক্ষত গভীর ছিল না। প্রাথমিক চিকিত্সার পরই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্রীটির বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি কলকাতার বাইরে থাকায় স্কুলে যান মেয়েটির মা।