হাওড়া: বাড়ি থেকে বেরিয়ে সড়কপথে এলেই রাস্তার দু’ধারে অসংখ্য পার্থেনিয়াম গাছ।এই গাছটি সাধারনত ধান গাছের মতো দেখতে। গাছটি লম্বায় দুই থেকে তিন ফুট। ডগে ছোট ছোট ফুলও ধরেছে। অতি সন্তর্পণে এলাকা বিস্তার করছে। সমস্তটাই চোখের সামনে তবুও হেলদোল নেই প্রশাসনের। এই পার্থেনিয়ামের আতঙ্কে আতঙ্কিত হাওড়া (গ্রামীন) এলাকার আমতার মানুষ। এই গাছ যাতে করে তড়িঘড়ি নির্মূল করা হয় তার দাবি সকল মানুষের। এত সংখ্যক গাছ জন্ম নিয়েছে যে, সেই গাছ নির্মূল করতে হলে প্রশাসনকে হস্তক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এমনটাই দাবি করছেন আমতা এলাকার মানুষজন।
আমতা কুরিট, রামচন্দ্রপুর,প্রেম রোড,সরপোতা সহ একাধিক জায়গায় গিজগিজ করছে এই গাছ। গাছগুলি যে পার্থেনিয়াম সেটা অনেকে জানেনা।ওই গাছের পাশে বসে গল্প করছে সোমনাথ সাধুখাঁ,দেবু সাধুখাঁ ও পিন্টু পাখিরা।গাছগুলির পাশে বসে থাকাটা কতটা ক্ষতিকর জানা আছে জিজ্ঞাসা করলে জানায়, ছোট ছোট সাদা ফুল ধরেছে দেখতে বেশ ভালো লাগছে।বসে গল্প করছি।কিন্তু এর যে শরীরের মধ্যে ক্ষতি করবার কতটা ক্ষমতা রয়েছে সেটা জানা নেই। গ্রামের মানুষ এসবের কথা শুনেছে হয়তো কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রচার নেই। কিভাবে সচেতন হবে সাধারণ মানুষ।
এমনকি গ্রামের ঢালাই রাস্তার দু’ধারেও ভর্তি পার্থেনিয়াম গাছ। স্বাস্থ্যের ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। পার্থেনিয়াম গাছ থেকে মানব দেহে কি কি ক্ষতি করতে পারে এবিষয়ে চিকিৎসক কাশিনাথ মাইতি জানান, এই গাছের রস মানবদেহের চামড়ায় লাগলে বিভিন্ন রকম চর্ম রোগের দেখা দেয়। এই গাছের ফুলের রেনু বাতাসে উড়তে থাকে মানুষ শ্বাস প্রশ্বাস নেয় সেই রেনু মানবদেহে চলে যায়। এর ফলে বিভিন্ন রোগের দেখা দেয় যেমন হাঁপানি,অ্যাজমা, এলার্জি ইত্যাদি। পাশাপাশি এই গাছ যদি কোন গবাদি পশু খাই তাহলে সেই গবাদি পশুর শরীরে বিষক্রিয়া হয়। এমনকি বিষক্রিয়ার ফলে গবাদি পশু মারা যেতে পারে।
এই গাছটিকে যাতে করে নির্মূল করা যায় সাধারণ মানুষ সেই দাবি জানাচ্ছেন। সংখ্যা এত বেশি হয়ে গেছে সরকারিভাবে কোনো ব্যবস্থা না নিলে এই গাছকে নির্মূল করা সম্ভব নয়।এ বিষয় আমতা ১নং বিডিও লোকনাথ সরকারকে জিজ্ঞাসা করা হলে উনি জানান, আমরা গ্রাম পঞ্চায়েতদের নিয়ে মিটিং করেছি কয়েক দিনের মধ্যেই আমরা পার্থেনিয়াম গাছ গুলিকে স্প্রে করে একেবারে গোড়া থেকে উবড়ে দেবো। যাতে করে গাছগুলোকে একেবারে নির্মূল করা যায়।