গরমে শুকিয়ে খাল, বীজতলা হবে কিসে চিন্তায় চাষিরা


সোমবার,১৭/০৬/২০১৯
600

হাওড়া: জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ শুরু। হাওড়াতে আমন ধানের বীজতলা তৈরীর কাজ সেভাবে শুরু হল না। জলের জোগানেই যে টান গরমে বহু খাল শুকিয়ে। এ রাজ্যের চাষিরা সাধারণত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই আমন ধানের বীজতলা তৈরীর কাজে হাত দেন। কিন্তু এবার যে আর হবেনা বোধ হয়। কারণ প্রবল গরমে জলের অভাবে অধিকাংশ ছোট খাল বিল শুকিয়ে কাঠ।‌ ফলে বীজতলা তৈরীর কাজ শুরু করতে পারছেন না চাষীরা। যার ফলে এবার আমন চাষ না হওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি। কানানদী,দামোদর, মুণ্ডেশ্বরীর মত কয়েকটি নদী ডিভিসির জলে পুষ্ট হয়। কিন্তু ডিভিসির জল না মেলায় এইসব নদী শুকিয়ে গিয়েছে । ফলে বীজতলা তৈরীর কাজে জল ব্যবহার করতে পারছেন না চাষীরা।

যার ফলে হাওড়া গ্রামীণ এলাকার চাষিরা চিন্তায় পড়েছে। ডিভিসির অধিকাংশ খালের ছবিটা একই।আমতা বলরামপুর গ্রামের চাষি বলাই ধাড়া বলেন জমির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ডিভিসির খালে জল নেই। কোনদিন এই পরিস্থিতি দেখিনি। জয়পুরের বাসিন্দা অজয় মণ্ডল জানান, নদী একেবারেই জলশূন্য হয়ে পড়ায় এবার চাষে ক্ষতি হয়ে গেল। বর্ষা ভালোমতো শুরু না হলে বীজতলার কাজে হাতই দিতে পারব না। চাষী জলের অকাল শুরু গত মরসুম থেকেই। হিসাব অনুযায়ী গত বর্ষায় এ রাজ্যে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হয়। যার জেরে ডিভিসি সহ সমস্ত জলধারে জলের পরিমান কমে যায়।

গত মরসুমে বোরো চাষের সময় রাজ্যের কৃষি দপ্তর জলের পর্যাপ্ত জোগান না-পাওয়া নিয়ে চাষীদের আগাম সতর্ক করেছিল। সতর্কবার্তা দিয়েছিল আলু চাষের ক্ষেত্রেও। কিন্তু সেই সতর্কবাণী উপেক্ষা করে ভালো আলু ফলান চাষীরা। যদিও আকাল বৃষ্টির জন্যে আলু থেকে লাভের কড়ি ঘরে তুলতে পারেনি চাষীরা। এই বার সেই জলের প্রশ্নই ফের দাঁড়িয়েছে রাজ্যের চাষীদের কাছে। চাষীরা এখন আকাশের দিকে তাকিয়ে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট