আমার রাজ্যে থাকতে গেলে বলতে হবে বাংলা , বললেন পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের রাজনীতি মহলে বিজেপি ও মমতা বন্দোপাধ্যায় মধ্যে ভাষাগত বিবাদ ক্রমশ ব্যাপক আকার ধারণ করছে। দেশে এখন রাজনীতি জন্ম নিচ্ছে ভাষাগত ভাবে, যা ভবিষ্যতে জন্ম নিতে পারে ভয়ঙ্কর রূপ। আপনি বাংলা বলুন, হিন্দি বলুন, তেলেগু বলুন, মারাঠি বলুন এসবই ভারতের উৎপত্তি অর্থাৎ ভারতের ই নিজস্ব ভাষা। সেই প্রাচীনকাল থেকে ঋষি মহারিশি দের দাঁড়া ভারতের এইসব ভাষা বিদেশি (ফ্রান্সিস ;চাইনিজ ইত্যাদি )দেশের তুলনায় অনেক বেশি বিজ্ঞানসম্মত ও সাংস্কৃতিক।
কিন্তু আমাদের দেশ ভারতে ব্রিটিশ শাসন চলার পরে এতটাই মূর্খের মত কাজ আমরা করছি যে ইংরেজি ভাষা কে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছি। নিজেদের এই সাংস্কৃতিক সম্পন্ন ভাষা পিছনে ফেলে পরের ভাষাকে আহ্বান করেছি। তার সাথে সাথে ভাষা গুলির মধ্যে দ্বন্দ্বের দানা বেঁধে ওঠে। এই কর্ম শুধু ইংরেজদের নয় ভারতের কিছু ক্ষমতালোভী মানুষ ভাষার ভিত্তিতে হিন্দুদের আলাদা করছে বিশেষ করে রাজনীতিতে যেমন দক্ষিণ ভারতে শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতের রাজনীতি বনাম ভারতীয় ভাষার দ্বন্দ্ব। ভারতীয় ভাষা বনাম রাজনীতিশুরু হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদা “জয় বাংলা” বলে স্লোগান দেন। আর বাংলাতে থাকতে হলে বাংলা ভাষায় কথা বলতে হবে ।
অর্থাৎ এ থেকে বোঝা যায় যে বাংলা ভাষা বনাম হিন্দি ভাষার দ্বন্দ্ব কে সামনে রেখে হিন্দুদের মধ্যে ঐক্য ভাঙার প্রচেষ্টা। যদি ভাষাপ্রেম দেখাতে হয় তাহলে ইংরেজি ভাষার বিরুদ্ধে দেখাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য যে আমরা অন্য রাজ্যে গেলে সেখানকার ভাষা বলে থাকে যেমন ইউপি বিহারে গেলে স্থানীয় ভাষা বলে থাকি সুতরাং বাংলায় থাকতে হলে বাংলাতেই বলতে হবে।