বাংলা এক্সপ্রেস , ভাঙড়: সারা দেশে বিজেপির জয়জয়কার। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বার এনডিএ সরকার গঠন এবং নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রী হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। পশ্চিমবঙ্গেও ফুটেছে পদ্ম। তৃণমূলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে বিজেপি। রাজ্যের ৪২ টি আসনের মধ্যে বিজেপির ঝুলিতে ১৮ টি। তৃণমূল দখলে রাখতে পেরেছে ২২ টি আসনে। কোন আসন না পেয়ে মুছে গেছে বামেরা। কংগ্রেস ২ টি আসন পেয়ে টিকে রয়েছে বলা যায়। যদিও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ৪টি আসনের একটিতেও জয় পায়নি ভারতীয় জনতা পার্টি। তারপরও বিজেপিকর পতাকা নিয়ে অনুগামীদের সঙ্গে বিজয় উল্লাসে মাতলেন ভাঙড়ের সংখ্যালঘু মুখ তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য মীর তাহের আলি। ভাঙড় যাদবপুর লোকসভার অন্তর্গত। এখানে বিজেপির অনুপম হাজরা দ্বিতীয় স্থান দখল করতে পেরেছে। ফল ঘোষণার পরই বৃহস্পতিবার মীর তাহের আলি তার ফুলবাড়ি গ্রামে অনুগামীদের সঙ্গে বিজেপির পতাকা নিয়ে বিজয় উল্লাসে মাতেন। বিজেপি, নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষদের নামে ওঠে জিন্দাবাদ ধ্বনি। রঙের খেলায়ও মাততে দেখা যায় তাদের। একে অপরের কপালে লাগিয়ে দেন গেরুয়া রঙ। এদিনের বিজয় উৎসব থেকে অবশ্য ‘বন্দে মাতরম’ ধ্বনিও ওঠে। যে ধ্বনি মূলত তৃণমুল ব্যাবহার করে থাকে। মীর তাহের আলি আনুষ্ঠানিক বিজেপিতে যোগদিন করেছেন কিনা তা জানা যায়নি। উল্লেখ, দীর্ঘদিন ধরে মীর তাহের আলি তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত। ভাঙড়ের এক সময়কার তৃণমূলের দাপুটে নেতা বহিষ্কৃত হন বছর ছয়েক আগে। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে নর্তকী এনে লাড়েলাপ্পা ড্যান্স ও টাকা ছড়ানোর দায়ে তাঁকে বহিস্কার করা হয়। অনেক চেষ্টা করেও তিনি আর দলে ফিরতে পারেনি। তার জায়গায় নেতৃত্বে উঠে আসে কাইজার আহমেদ। একাধিকবার তৃণমূল নেতাদের কাছে দরবার করতেও দেখা যায় মীর তাহের আলিকে। এই সমস্ত রাগ ও ক্ষোভে তৃণমূলেল প্রাক্তন নেতার বিজেপিতে ভেড়ার জন্য কারণ হিসাবে দেখছে ভাঙড়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষক থেকে সাধারণ মানুষ।
মোদির জয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্যের বিজয় উল্লাস ভাঙড়ে
শুক্রবার,২৪/০৫/২০১৯
897
সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে---