হাওড়া, উলুবেড়িয়া: গেরুয়া হাওয়া থমকে গেলে উলুবেড়িয়া।বিপুল ভোটের ব্যবধানে এবারও জয়ী হলেন উলুবেড়িয়ার তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ। প্রথম যে তিনি হবেন এটা মোটের উপর ঠিক ছিল। একদিকে ধর্মীয় মেরুকরণ অপরদিকে উত্তেজনার চাপা প্রবাহ। উলুবেড়িয়া লোকসভা আসনে লড়াইটা পৌঁছে গিয়েছিল সর্বোচ্চ শিখরে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গণনা কেন্দ্রের কাছে চলে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। একের পর এক রাউন্ড গড়িয়েছে বাড়তে থেকেছে সাজদার ব্যবধান। যতবার ঘোষণা করা হচ্ছে বাইরে অপেক্ষায় থাকা কর্মীদের উৎসাহ ততই বাড়তে থেকেছে। যদিও ততক্ষণে ঠিক হয়ে গিয়েছে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দেশে পুনরায় আসতে চলেছেন মোদি সরকার।২৯ বছর উলুবেড়িয়া লোকসভা আসনটি ছিল বামেদের দখলে।২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বামেদের সড়িয়ে উলুবেড়িয়ায় সাংসদ হন প্রয়াত সুলতান আহমেদ।
লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাজদার জয়ের ব্যবধান সবচেয়ে বেশি বাগনানে(৪৮ হাজার)। সবচেয়ে কম উলুবেরিয়া উত্তর কেন্দ্রে(১৪ হাজার)। এর পিছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কারণ হিসেবে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। রাজ্যের অন্য কেন্দ্র গুলির মত এখানেও সিপিএমের ভোট কমেছে। তারা চলে গিয়েছে তৃতীয় স্থানে। এদিন সাজদা আহমেদ জানান,২০১৪ সালে সুলতান আহমেদ ৪৮ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। এবার আমার প্রাপ্ত ভোট ৫৩ শতাংশের বেশি। আমার যে ভোট ছিল সেটাই আছে। সিপিএম কংগ্রেসের ভোট বিজেপি পেয়েছে। সাজদা আহমেদের জেতার ব্যবধান ২ লক্ষ ১৫ হাজার ৬০১ ভোট। জেতার পর সাজেদ আহমেদ জানান, এই জয় মা মাটি মানুষের জয়। উলুবেড়িয়া বাসির জয়। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন মূলক কাজ গুলির সুফল আমাদের দলের নেতাকর্মীরা তুলে ধরতে পেরেছেন। তাই এই কঠিন সময়েও আমাদের এত বড় ব্যবধানে জয় এসেছে। এলাকার মানুষের পাশে আমি যেরকম ছিলাম সেরকমই থাকবো।