বাংলা এক্সপ্রেস, ভাঙড়: রবিবার ছিল সপ্তম তথা চুরান্ত পর্যায়ের লোকসভা নির্বাচন। ভোটারদের জন্য দুপুরের খাওয়া-দাওয়ার ইলাহি আয়োজন। সমস্ত আয়োজন করলেন ভাঙড়ের ভোগালি ২ অঞ্চলের বিতর্কিত তৃণমূল প্রধান মোদাচ্ছের হোসেন। একই সঙ্গে তিনি এই অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি। কাঁঠালিয়াতে নিজের বাড়ীতেই বসে ভূরিভোজের আসর। প্রায় ৬,০০০ লোকের খাওয়ার আয়োজন করা হয় বলে খবর। বিরোধীরা অবশ্য ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ এনেছে। তবে দোষের কিছু দেখছে তৃণমূলের প্রধান মোদাচ্ছের হোসেন।
মোদাসের হোসেন বলেন, “৩ কুইন্টাল খাসির মাংস, আলু চোখা, ডাল, পটল,চিঙড়ি, সাদা ভাত । যারা ভোট দিচ্ছে তারা খাবে, যারা পরিশ্রম করছে তারা খাবে। রমজান মাস চলছে, যারা রোজা করছে তারা সন্ধের পর খাবে। “তিনি আরও বলেন, “এখানে বিরোধীরা কোনও এজেন্ট খুঁজে পাবে না। মানুষ আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে জোড়া ফুল চিহ্নে ছাপ দিচ্ছে । এখানে যারা সিপিএম করত, তারা তো সব আমাদের সঙ্গে। তাই ওরা এজেন্ট খুঁজে পাবে কোথায়? আর ভাঙড়ে বিজেপির তো কোনও অস্তিত্ব নেই। ”
কিছুদিন আগে পঞ্চায়েত থেকে ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের চেক বিলি করে ভেঙে ছিলেন নির্বাচনী আচরণ বিধি। শুধু তাই নয়, চেকের বিনিময়ে ভোট চেয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। তারপর এক নির্বাচনী প্রচারে বক্তব্য দিতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেন। নিদান দিয়েছিলেন বিরোধী এজেন্ট বসতে না দেওয়ার। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তোপের মুখে পড়তে হয় তৃণমূলের ভোগালি ২ অঞ্চল সভাপতি। তবে তিনি ঠেকেও শেখেননি। কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই এদিন জাঁকজমক করে খাইখাওয়ার আয়োজন করে ফের শিরোনামে তিনি।