আবর্জনা ফেলাকে কেন্দ্র করে মহিলাকে বেধড়ক মার যুবকের, ডায়েরি না নেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে


মঙ্গলবার,০৭/০৫/২০১৯
939

নিজস্ব প্রতিবেদক ---

দীপ্তি বালা কর্মকার।

বাংলা এক্সপ্রেস ডেক্স, ভাঙড়: ভাঙড়ের রঘুনাথপুর অফিস পাড়ায় প্রতিবেশী মহিলাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবকের নাম সুব্রত সাহা ওরফে রোন্টে। ঘটনাটি রবিবার সকালের। মারধরে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে নাম জড়িয়েছে আরও কয়েক জনের।সুব্রত সাহা ওরফে রন্টা।

ঘটনার সূত্রপাত নোংরা ফেলাকে কেন্দ্র করে। অভিযুক্ত সুব্রত সাহা ওরফে রন্টা তার পড়শি পাঁচু গোপাল কর্মকারের বাড়ির উঠোনে নোংরা ফেলেন এদিন । কেন নোংরা ফেলেছিস বলে প্রতিবাদ করলে দলবল নিয়ে রন্টা তেরে আছে পাঁচু গোপালের বাড়িতে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। পাঁচু গোপালের স্ত্রী দীপ্তি বালা কর্মকার কারকে মাটিতে ঠেলে ফেলে দিয়ে বেধড়ক কিল ঘুষি মারা হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ সে সময় রন্টাকে   উৎসাহ দিচ্ছিল কংসারী সর্দার,রঘু পাল,তন্ময় পালরাব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র।

বছর ৬৫ পাঁচু গোপাল ও তার বাড়ির লোকজন পাল্টা তাড়া করলে সুব্রত সাহা সেখান থেকে ছুটে পালায়। মাকে মারধরের পুরো ঘটনা ক্যামেরাবন্দী করেন পাঁচু গোপালের বছর ১৮ এর কলেজ ছাত্রী মেয়ে মৌমিতা কর্মকার।মহিলার স্বামী এবং মেয়ে তাকে নিয়ে ভাঙড় থানায় গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। বেশ কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। তারপর বলা হয় আগে হাসপাতালে নিয়ে যান মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে আসুন তারপর অভিযোগ নেয়া হবে।পাঁচু  গোপাল  কর্মকার।

দীপ্তি বালা দেবীকে স্থানীয় নলমুড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তার মাথাতে চোট লেগেছে বলে জানা গেছে। মেয়ে মৌমিতা কর্মকারের অভিযোগ,”আমাদেরকে বাঁচাতে এদিন কেউ এগিয়ে আসেনি। অভিযুক্ত রন্টা  ও তার দলবল তৃণমূল অনুগামী বলে জানা গেছে। তাই তাদের ভয়ে মারধরের ঘটনা দেখলেও কেউ মুখ খুলতে চাই নি।” মৌমিতার আরও অভিযোগ,”কলেজে যাওয়ার পথে রন্টা ও তার ছেলে-পুলেরা তাকে উত্তেজিত করে।বলে তোকে রেফ করে দেব, বাড়ির সবাইকে খুন করে দেব। এমনকি বাড়িতে এসেও দরজা-জানালায় বাড়ি মারে এবং ইটখোলা ছোড়ে।”দীপ্তি বালা দেবীর মেয়ে মৌমিতা কর্মকার।

তবে অভিযুক্ত সুব্রত সাহা ওরফে রন্টা  মহিলাকে মারধরের কথা অস্বীকার করেছে। সে বলে,”এদিন সকালে আমার বাড়ীতে মিস্ত্রিরা পাঁচিল তোলার কাজ করছিল। সে সময় পাঁচু গোপাল এবং তার স্ত্রী বাধা দেয় এবং তাদেরকে মারধর করে। আমার বাড়িতে এসেও গালাগালি করতে থাকে ওরা। তাই আমি আত্মরক্ষার্থে মহিলাকে বাড়ী থেকে ঠেলে বার করে দেই।যদিও মহিলার গায়ে হাত তোলা ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন রন্টা ।”

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট