চিলগোড়ার এক চিলতে মাঠ ভরাতে পারলো না তৃণমূল – ফাঁকা মাঠেই উন্নয়নের গল্প শুনালেন সুব্রত বক্সী


সোমবার,২৯/০৪/২০১৯
561

বাংলা এক্সপ্রেস---

মেদিনীপুর : চিলগোড়ার এক চিলতে মাঠ তাও মাঠ ভরাতে পারলো না তৃনমূল। অনেক ডাকাডাকি করে অবশেষে ফাঁকা মাঠেই উন্নয়নের গল্প শুনালেন মঞ্চের সামনে উপস্থিত গুটি কয়েক শ্রোতার কাছে তৃনমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। লোকসভা নির্বাচন কে সামনে রেখে প্রতিটি রাজনৈতিক দলেই জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছে। শাসক থেকে বিরোধী কেউ বাদ যাচ্ছে না। কাঠফাটা রোদকে উপেক্ষা করেই নিজেদের জনসমর্থন কে জাহির করতে জনসভা, প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

যদিও আজকে তৃণমুলের রাজ্য সভাপতির জনসভা সফল করার জন্য কড়া রোদ কে এড়িয়ে বিকেল বেলায় জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাতেও ভরলো না মাঠ। সুব্রত বাবুর মান রাখলেন স্ব সহায়িকা দলের মহিলারা আর ব্যান্ড পার্টি। যে ব্যান্ড পার্টির লোকেদের ভাড়া করে আনা হয়েছিল বলে অভিযোগ বিরোধীদের । ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করার পর ফাঁকা মাঠেই উন্নয়নের বুলি আওড়ে মঞ্চ ছাড়েন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি।

মেদিনীপুর লোকসভার অন্তর্গত মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া অঞ্চলের চিলগোড়া তে আজ বিকেল চার টার সময় দলীয় প্রার্থীর সমর্থেন একটি জনসভার আয়োজন করে তৃণমূল। সেই মতো রাজ্য সভাপতি উপস্থিত হলেও দেখা মেলেনি কর্মী সমর্থক দের। বাধ্য হয়েই সুব্রত বাবু মঞ্চের পাশেই এক কর্মীর বাড়িতে ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করেন কয়েকজন দলীয় কর্মী দের নিয়ে। এদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তখন এলাকার বিভিন্ন স্থানে ফোনে কর্মীদের ডাকতে থাকেন জনসভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য।

কিন্তু তাদের ডাকে সেভাবে মেলেনি সাড়া। সভায় উপস্থিত শ্রোতা বলতে স্ব সহায়িকা দলের মহিলারা আর ব্যান্ড পার্টির কিছু লোক। অবশেষে ফাঁকা মাঠেই সন্ধ্যা ছয় টা নাগাদ সুব্রত বাবু ব্যক্তব্য রাখেন মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের কাহিনী। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব সহ বিরোধীদের বক্তব্য এলাকায় তৃণমূলের কোনো জনসমর্থন নেই। তাদের পায়ের নিচের মাটি সরে গিয়েছে। তাই সকাল থেকে প্রচার করেও সামান্য একটা ছোটো মাঠ ভরাতে পারেনি। বিকেল চার টা তে সভা শুরু করার কথা থাকলেও সভা শুরু হয় সন্ধ্যা ছয় টা তে। উল্লেখ করা যায় চাঁদড়া অঞ্চল টি গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কে হারিয়ে বিজেপি দখল করে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট