ফের আক্রান্ত ডায়মন্ডহারবারের বামপ্রার্থী ডাক্তার ফুয়াদ আলিম


রবিবার,২৮/০৪/২০১৯
717

বাংলা এক্সপ্রেস---

ডায়মন্ডহারবার:শনিবার সকালে প্রচারে বেরিয়ে ফের আক্রান্ত বাম সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী ডাক্তার ফুয়াদ হালিম। অভিযোগের তীর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।আক্রান্ত হওয়ার পর একটি বাড়ীতে আশ্রয় নেয় বাম কর্মীরা। অভিযোগ সেখানেই হালিমসহ সিপিআইএম কর্মীদের ঘিরে ফেলা হয়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

এদিন বাম প্রার্থী তথা প্রয়াত প্রাক্তন স্পিকার হাসিম আব্দুল হালিমের পুত্র ডাক্তার ফুয়াদ হালিম কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী মিছিল করছিলেন। অভিযোগ তখন তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীরা বাম কর্মীদের ওপর আক্রমণ করে। রেহাই পাননি ফুয়াদ নিজেও। পাশাপাশি দীর্ঘক্ষন তাদের একটি বাড়ীতে আটকেরাখখা হয়। ঘটনাটি ডায়মন্ডহারবার থানা এলাকারই গুরুদাস নগররের। উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে ফলতা থানা এলাকাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ডাক্তার ফুয়াদ হালিম। আহত হয়েছিলেন বেশকিছু সিপিআইএম কর্মীও। সেদিনও অভিযোগের আঙুল উঠেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকেই।

শনিবার ডায়মন্ডহারবার এলাকায় গুরুদাস নগরে মুখোমুখি হয় তৃণমূল এবং সিপিএমের মিছিল। আর এখানেই বিপত্তি। অভিযোগ তৃণমূলের মিছিল থেকে সিপিআইএমের মিছিলে আক্রমণ করা হয়। সিপিআইএমের দাবি সুবিধা এপে পুলিশের অনুমতি নিয়ে মিছিল করছিল তারা। একই জায়গায় কিভাবে দুটি দল মিছিলের অনুমতি পায়। নাকি তৃণমূলের অনুমতি ছিল না, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। বিরোধীদের পক্ষ থেকে উষ্মা প্রকাশ করে বলা হয়, তাহলে পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশন কি ঘুমাচ্ছিল?

ডাক্তার ফুয়াদ হালিম বলেন, এদিন দু’দফাতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমার উপর আক্রমণ চালিয়েছে, আঘাত করা হয় আমার দলের কর্মীদের উপররেও। ৮ জন সিপিআইএম কর্মী আহত হয়েছেন।ছিঁড়ে দেওয়া হয় সিপিআইএমের দলীয় পতাকা এবং ফেস্টুন। ভাংচুর করা হয় দলীয় কর্মীদের গাড়িও। এভাবে ওরা আমাকে আক্রমন করে প্রচার আটকানোর চেষ্টা করছে। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। তিনি আরো বলেন আমরা পুলিশের অনুমতি নিয়েই এদিনের নির্বাচনী প্রচার করছিলাম।

সমস্ত ঘটনাটি অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় তৃণমূল নেতা উমাপদ পুরকায়স্থ বলেন, কোন কারন ছাড়াই ফুয়াদ হালিমের নেতৃত্বে আমাদের মিছিলে এসে আক্রমণ করে।১৬ জন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে এক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। তাঁর নাম গৌতম অধিকারি, তিনি স্থানীয় তৃণমূলের যুব নেতা। আরো অভিযোগ মহিলাদের ওপর আক্রমণ করা হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় তাদের শাড়ি এবং ব্লাউজ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট