ভাঙড়ে মিমির বাইক মিছিলে বিধি ভঙ্গের অভিযোগ


রবিবার,২৮/০৪/২০১৯
738

বাংলাএক্সপ্রেস---

সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, যাদবপুর :যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠল।মিমির সমর্থনে রোড শোর আয়োজন করেছিল ভাঙড়ের তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই মিছিলে প্রায় ১০০ বাইক নিয়ে তৃণমূল কর্মীরা যোগ দেয় বলে খবর। আর এখানেই বিধি ভঙ্গ হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। আরো অভিযোগ যে মিছিলে অংশগ্রহণকারি বেশিরভাগ তৃণমূল কর্মীর মাথায় হেলমেট ছিল না।

শনিবার সকালে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার ভোজেরহাঠ এলাকায় রোড শো করেন মিমি চক্রবর্তী। হুডখোলা গাড়িতে করে তিনি এলাকা পরিক্রমা করেন। সঙ্গে ছিলেন ভাঙড়ের তাজা নেতা আরাবুল ইসলাম, পুত্র হাকিমুল ইসলাম, অহিদুল ইসলাম, অহেদ আলি শেখ, মমিনুল ইসলাম কাশেফুল করুব খান প্রমুখ। মিমির গাড়ির পিছনে তৃণমূল কর্মীরা বাইক করে মিছিলে যোগ দেয়। বাইক মিছিলে ১০০ এর অধিক বাইক ছিল বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য কোন প্রার্থীর নির্বাচনী রোডশোতে সর্বাধিক দশটি গাড়ি অংশ নিতে পারে। ১০ এর অধিক গাড়ি অংশ নিলে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী তা বিধি ভঙ্গের শামিল।

বেশ কিছুদিন আগে পাওয়ার গ্রিড সংলগ্ন এলাকার ৯১ রোডের দক্ষিণ গাজীপুরে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের বাইক মিছিল আটকে দিয়েছিল পুলিশ।কাশীপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে একসঙ্গে এতগুলো গাড়ি নিয়ে মিছিল নির্বাচন কমিশনের আইন বিরুদ্ধ। জমি কমিটির ডাকে সেদিন পুলিশের কথা অনুযায়ী সিপিআইএম কর্মীরা বাইক রেখে পায়ে হেঁটেই মিছিল করেছিলেন। কিন্তু একই অভিযোগে অভিযুক্ত শাসক দলের প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর বাইক মিছিল আটকানো হয়নি কেন তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।

শনিবারের ঘটনাটি অবশ্য ঘটে কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত লেদার কমপ্লেস থানা এলাকায়। রাজ্য পুলিশের থেকে কলকাতা পুলিশ আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সক্রিয় বলে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু এই ঘটনা কলকাতা পুলিশের দক্ষতা এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। ১০০ এর বেশি বাইক নিয়ে মিছিল তথা বিধি ভঙ্গের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে জমি কমিটির মুখপাত্র তথা সিপিআইএমএল রেড স্টার নেতা অলীক চক্রবর্তী বলেন, পুলিশ দ্বিচারিতা করছে। বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের বাইক মিছিল আটকানো হলেও তারা কেন মিমি চক্রবর্তীর বাইক মিছিল আটকালো না। তিনি আরো বলেন, তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। তাই তারা নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করেই মিছিল করছে। মানুষই এদের যথোপযুক্ত জবাব দেবে।

বিরোধীদের পক্ষ থেকে উষ্মা প্রকাশ করে বলা হয় পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশন কি করছিল। ভাঙড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য বাইক মিছিল এর কথা অস্বীকার করেছেন।ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সভাপতি ওহিদুল ইসলাম বলেন, বিরোধীদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা কোন বাইক মিছিল করিনি। মিমির মিছিলে প্রচুর ভিড় হওয়ার কারণে তাঁর গাড়ির পিছনে প্রচুর সাধারণ বাইক আটকে পড়েছিল। আটকে থাকা বাইকগুলো তৃণমূল কর্মীদের নয়,সবাই পথচারী।

ভোজেরহাট ছাড়াও এদিন মিমি ভাঙড়ে আরো বেশ কয়েকটি জনসভা কররেন। তিনি প্রথমে জনসভা করেন ভোগালী ১ নম্বর অঞ্চলের কাঁঠালিয়াতে। তারপরে শানপুকুর অঞ্চল তৃণমূল ডাকে শোনপুরে এক জনসভায় যোগদান করেন। এরপরে তিনি যান পোলেরহাট ২ নম্বর অঞ্চলের দক্ষিণ গাজীপুরে। তারপরে যোগদেন পোলেরহাট ১ নম্বর অঞ্চলের পোলেরহাটে। সেখান থেকে তিনি ভগবানপুর অঞ্চলের পাকাপোল এবং ব্যাঁওতা ১ নম্বর অঞ্চলের হাতিশালায় জনসভা করেন।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট