উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে শুরু হল বয়রা কালির অষ্ট ধাতুর মূর্ত্তি পূজা। সাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন হলো উত্তরবঙ্গের তথা উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ বয়রা কালি। এই পুজা আজ থেকে কত বছর আগে শুরু হয়েছিলো তা এখনো সঠিক ভাবে বলতে পারে না। কথিত আছে যে মন্দিরের পাশে দিয়ে বয়ে যাওয়া শ্রীমতি নদীতে বনিকেরা বানিজ্য করতে আসতো তখন বনিকেরা বয়রা গাছের নিচে কালি পুজা শুরু করে। আবার এই কথা রয়েছে ডাকাতেরা বয়রা গাছের নিচে কালি পূজা করত সেই কারণে বয়রা কালি নামে পরিচিত।
সেই সময় ব্রিটিশ শাসন কালে কালিয়াগঞ্জ থানার দারোগা ছিলেন নাজমুল হক। মায়ের থান নোংরা আবর্জনার মধ্যে থাকায় দারোগা নাজমুল হক স্বপ্ন দেখেন। মায়ের স্বপ্না দেশে তার প্রচেষ্টায় সেই সময় একটি ছোট্ট মন্দিরে স্থাপন হয়। তার পড় থেকে বয়রা কালি মন্দিরের সভাপতি থাকেন থানার আইসি। নাজমূল হকের নামে মন্দিরের পাশে গড়ে উঠেছে নজমূ নাট্ট নিকেতন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মায়ের মহিমা বাড়তে থাকায় সাধারণ মানুষের প্রচেষ্টায় পূর্নাঙ্গ মন্দির স্থাপন করা হয়। কালি পূজার সময় নিষ্ঠা ও ভক্তি সহকারে পুজা হয়।
মায়ের প্রচুর পরিমাণে অলংকার রয়েছে মায়ের পূজা শোল,বোয়াল সহ পাচ রকমের মাছের ভাজা দিয়ে ভোগ হয়। সময়ের সাথে সাথে মায়ের মহিমার সাথে সাথে ঐতিহ্য বাড়তে থাকে। দীর্ঘদিন দাবি সাধারণ মানুষের মায়ের মন্দিরে মৃনময়ী মূর্তির পরিবর্তে অষ্টধাতুর মূর্তি স্থাপন করা হোক। মানুষের অর্থে ৫ লক্ষ্য টাকা ব্যায়ে ১৯৯৮ অষ্টধাতুর মন্দির মূর্তি স্থাপন করা হয়। সেই মোতাবেক প্রতি বছর কালি পূজার সময় পূজা হলেও ২৩ শে চৈত্র অর্থাৎ অষ্টধাতুর প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে প্রতিবছর নিষ্ঠা ও ভক্তি সহকারে স্থাপন হয়।
সেই মতাবেক মা বয়রা কালির মন্দির অষ্ট ধাতু পূজা উপলক্ষ্যে কৃত্তিম রঙ বাহারি ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। রাস্তায় লাগানো হয়েছে ডিজিটাল লাইট। পূজাকে ঘিরে দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষের ঢল নামে এক প্রকার মেলায় পরিণত হয়।