ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম শহরে সরকারি নির্দেশ থাকা সত্বেও রাতের ওষুধ দোকান বন্ধ, মারা গেলেন রোগী। মৃতার নাম গীতা মৈত্র। একটি মৃত্যু তুলে দিল হাজারো প্রশ্ন ? রোগীর নাতি প্রতীক মৈত্র বলেন,’গতকাল আমার ঠাকুমা অসুস্থ হওয়ায় ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এনেছিলাম। তখন ঠাকুমাকে সিসিইউ ভর্তি করানো হয়। একটি ওষুধ কেনার জন্য প্রেসক্রিপশনে আমাদের লিখে দেওয়া হয়।
হাসপাতালেও ওই জীবন দায়ী ওষুধ ছিল না। সরকারি ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকানও খোল থাকলেও ছিলনা ওই ওষুধটি। মহকুমা শাসকের নির্দেশ অনুসারে প্রতি রাতে একটি খোলা থাকার কথা। ওই তালিকায় আমরা দেখি গতকাল রাতে ঝাড়গ্রাম মেডিকেল খোলা থাকার কথা। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ গিয়ে দেখি ওই দোকান বন্ধ। দোকানের ফোন নম্বরে ফোন করে দেখি তাও সুইচ অফ।
ঝাড়গ্রাম থানায় ফোন করি। পুলিশও আসে ঘটনাস্থলে। কিন্তু দোকান খোলানো যায়নি। ভোর রাতে মৃত্যু হয় ঠাকুমার।’ প্রশ্ন উঠছে তাহলে এহেন সরকারি নির্দেশিকার মানে কি ? আর কত রোগী মারা গেলে হুশ ফিরবে ওষুধ দোকানদার বা প্রসাশনের প্রশ্ন তুলেছেন মৃতার পরিবার।