ভাঙড়: বাম সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের বাইক মিছিল আটকাল পুলিশ। সোমবার পাওয়ার গ্রিড সংলগ্ন পোলেরহাট ১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রেলি করার কথা ছিল বিকাশ বাবুর। সোমবার সকালে জমি কমিটি এবং বজমি কমিটির যৌথ মিছিল মাছিভাঙা থেকে শুরু হয়। সেখান থেকে নতুনহাট হয়ে গাজীপুর এসে পৌঁছায় মিছিল। পোলেরহাট বাজারের দিকে মিছিল এগোনোর সময় কাশিপুর থানার পুলিশ বাইক আটকে দেয়।
এদিন হুডখোলা গাড়িতে ছিলেন বিকাশ রঞ্জন বাবু। তাঁর পিছনে ছিল কয়েক শত বাইক। বাইক আটকালে বিকাশ বাবু গাড়ি থেকে না নামলেও নিচে নেমে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন জমি কমিটির নেতা অলীকঢ়চক্রবর্তী। অলীক জানতে চান কি কারণে তাদের বাইক মিছিল আটকে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় একসঙ্গে এতগুলো বাইক নিয়ে মিছিল করা অবৈধ। এই ধরনের মিছিলে নির্বাচন কমিশনের কোন অনুমতি নেই। প্রায় ৫০ কিলোমিটার এলাকা পরিক্রমা হবে ,তাই অনেকে বাইক এনেছিলেন। কিন্তু পুলিশ কোনমতে অনুমতি না দেওয়ায়,কর্মীরা বাইক রেখেই মিছিলে হাটেন। মহিলা এবং বৃদ্ধ ব্যাক্তিদের জন্য কয়েকটি গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়। একটা রেলিতে সর্বাধিক দশটি গাড়ি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি আছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এদিনের মিছিল মাছিভাঙা থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় শ্যামনগর মোড়ে। এর আগে পোলেরহাট ১ এবং ২ অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম পরিক্রমা করে ওই মিছিল। অশান্তির আশঙ্কায় ঝুঁকি না নিয়ে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ। বিকাশ রঞ্জন বাবুর গাড়ীর সামনে এবং পেছনে পুলিশের কনভয় লক্ষকরা যায়। ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে তৃণমূল নেতা আরাবুল এবং মিজানুরের এলাকায় সিপিএম কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মিছিলে অংশগ্রহণ করে।
বাইক মিছিল আটকানো নিয়ে বাম প্রার্থী বিকাশ রঞ্জন বাবু বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। মানুষ উৎসাহ দেখিয়ে বাইক নিয়ে মিছিলে এসেছিলেন। পুলিশ বাইক আঁটকে দিলে মানুষ পায়ে হেঁটেই মিছিলে অংশ নেয়। তবে শাসক দলকে যদি পুলিশ না আঁটকায়,আমরা ছেড়ে কথা বলবো না। তখন কমিশনকে জানাব এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। জমি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান এ বিষয়ে বলেন, বাইক মিছিল করা যাবে না পুলিশ আমাদেরকে জানিয়ে ছিলেন। কর্মীদেরকে আমরা ঠিক বোঝাতে পারেনি। তারা অতি উৎসাহ দেখিয়ে বাইক নিয়ে বার হয়েছিলেন।