আবার গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব ভাঙড়ে,আহত ৩ পুলিশকর্মীসহ ১৩ জন


সোমবার,০৮/০৪/২০১৯
1125

বাংলাএক্সপ্রেস---

ভাঙড়:গোষ্টিদ্বন্দ্ব যেন ভাঙড়ের চেনা ছন্দ।ভাঙড়ে বিরোধী বলতে মূলত তৃণমূলই তৃণমূলের বিরোধী।নানা কারণে লেগেই থাকে ঝগড়া-ঝামেলা।কখন ও আরাবুল-কাইজার কখন ও আরাবুল-নান্নু।গোষ্ঠিদ্বন্দ্বের এটাই চেনা সমিকরণ।এদিনের সংঘর্ঘে ছড়িয়ে পড়ে অবশ্য ইসমাইল মোল্লা ও জুলফিকার মোল্লা।ইসমাইল ভাঙড় ২ তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান আর জুলফিক্কার ব্লক তৃণমূল শ্রমিক সংগঠণের সভাপতি।দুজনেরই বাড়ী ব্যাঁওতা ২ অঞ্চলের হাতিশালা এলাকায়।এদিন দুই গোষ্ঠির সংঘর্ষে মোট ১৩ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর শনিবার সকালে বিদ্যুতের খুঁটি বসানোকে কেন্দ্র করে ঘটনার সুত্রপাত।বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আসে কোলকাতা লেদার কম্পলেক্স থানার পুলিশ।তখন বিবাদমান দুই গোষ্টির লোকজন ছুটে পালায়।স্থানীয় পার্টি অফিসে কয়েকজন আশ্রয় নেয়।অভিযোগ পুলিশ সেখানে ঢুকে লাঠিচার্চ শুরু করে।পুলিশের লাঠির আঘাতে ১০ জন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

অপরদিকে ক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মীদের পাল্টা ইটের আঘাতে এডিশনাল আইসিসহ ৩ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন।এডিশনাল আইসির মাথা ফেটে গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।আহত তৃণমূল কর্মী ও পুলিশ কর্মীদের স্থানীয় জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

পঞ্চায়েতে সাফল্য পাওয়ার পরে লোকসভা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ভাঙড়ের জমি কমিটি।বারাসাত কেন্দ্রে তারা সরাসরি লড়াই করছে।কিন্তু যাদবপুর আসনে জমি কমিটি বাম প্রার্থী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে সমর্থন দিয়েছে।ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রটি যাদবপুর লোকসভার অধিনে।তাই কিছুটা হলেও ভাঙড়ে তৃণমূলের লড়াই কঠিণ হবে।তার উপর দলীয় কোন্দল ব্লক ও জেলা নেতৃত্বকে চিন্তায় ফেলবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট