ভাঙড়:আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু থাকা সত্ত্বেও নিজে হাতে চেক বিলি করলেন পঞ্চায়েত প্রধান।সোমবার ভাঙড় ২ নং ব্লকের ভোগালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মোদাচ্ছের হোসেনের এই চেক বিলিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।পাশাপাশি চেক নিয়ে তৃণমূলকে ভোট না দিলে চেকের টাকা ফেরৎ এবং এপিক কার্ড কেড়ে নেওয়ারও হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে মোদাচ্ছেরের বিরুদ্ধে।
কৃষকবন্ধু প্রকল্পে এদিন প্রায় ৬০০ জন সুবিধাভোগি কৃষকের হাতেঢ়চেক তুলে দেওয়া হয়।উপস্থিত ছিলেন ব্লক কৃষি আধিকারিক শীর্ষেন্দু আঢ্য।সেখানে মোদাচ্ছের হোসেন বলেন, চেক দিচ্ছি আমরা ভোট দিতে হবে আমাদের।মমতা দিদির চেক নাও আর যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীকে ভোট দাও।ভোট অন্য দিকে গেলে মৃত্যুর পরে যে ২ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা সেটাও পাবেনা।আগামি দিনি যাতে প্রত্যেকে আরো টাকা পায় সেটা আমরা দেখব।
তিনি আরো বলেন ,এটা বিধান সভা ভোট হলে বিরোধীদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য করতাম।ঠিক যেমন ২০১৬ পঞ্চায়েত নির্বাচনে করেছিলাম এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে ছিলাম।এটা লোকসভার ভোট ৭ টা বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে বিরাট এলাকা তাই কিছু করা যাচ্ছে না।যারা দলীয় কর্মী এবং আজকে যারা চেক পাচ্ছো তাদের দায়িত্ব নিতে হবে।বিরোধীরা যাতে এজেন্ট না দিতে পারে সেটাও দেখতে হবে।
উল্লেখ,এর আগে একাধিকবার তৃণমূলের এই নেতার বিরুদ্ধে নানা প্ররোচনামূলক কথা ও কাজের অভিযোগ রয়েছে।অতি সম্প্রতি তিনি দলীয় এক কর্মী সভায় বিরোধীদের কোন এজেন্ট থাকবেনা এবং কেন্দ্র বাহিনীকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করার তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী দলের লোকজনকে মারধরের অভিযোগও উঠেছিল মোদাচ্ছেরের বিরুদ্ধে।সেসময় নির্বাচন কমিশনের শোকজের মুখে পড়েন তিনি।তার পরেও তিনি ঠেকেও শেখেনি।বরং বারবার বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে এসেছেন।
সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে