ঝাড়গ্রাম: কাজ করার তিনমাস পরেও প্রাপ্য সাম্মানিক না পাওয়ায় লালগড়ের বিডিওর দ্বারস্থ হলেন লালগড় ব্লকের ৫২ জন ধারাসেবক। নিয়মিত সাম্মানিক প্রদান সহ প্রতি মাসে কমপক্ষে ২৫ দিন কাজ দেওয়ার দাবিতে বিডিওকে স্মারকলিপি দেন। এদিন বিডিওকে দেওয়া স্মারকলিপিতে ব্লকের দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধারাসেবকরা অবিলম্বে প্রতি মাসে প্রাপ্যভাতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ‘ঊষরমুক্তি’ প্রকল্পের কাজ দেখভাল করার জন্য গত বছর রাজ্যের ছয় জেলায় (ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম) ধারাসেবক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।
গত বছর অক্টোবরে ওই সব জেলায় পঞ্চায়েত স্তরে প্রতিটি গ্রাম সংসদ এলাকায় একজন করে ধারাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। ওই ছ’টি জেলায় মোট ধারাসেবকের সংখ্যা ১১,৩৭৫ জন। ধারাসেবক নিয়োগের ক্ষেত্রে একশো দিনের কাজের সুপার ভাইজারদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাধারণ বেকার যুবক-যুবতীদের নিয়োগ করা হয়। ধারাসেবক-রা সবোর্চ্চ সাড়ে সাত হাজার টাকা মাসিক ভাতা পাবেন।
একশো দিনের প্রকল্পের টাকা থেকে ধারাসেবকদের ভাতা বা সাম্মানিক দেওয়ার কথা। লালগড় ব্লকের অর্জুন নায়েক, সাবিউল খাঁন, সাগর সিংহ, মতো ধারাসেবকরা বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে আমাদের নামের তালিকা ব্লকে পাঠানো হয়েছিল। তারপর আমাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজ দেওয়া হয়। তিন মাস কাজ করেও কোনও সাম্মানিক পাইনি। আগে বেকার ছিলাম। এখন কাজ করেও এক টাকাও পাচ্ছি না।