গ্যাস্ট্রোনোমিক সৃজনশীলতা, দর্শনীয় নর্দার্ন লাইটস এবং অপরূপ সুন্দরের জন্য বিশ্বব্যাপী শুভকামনা রিপোর্ট অনুসারে, ফিনল্যাণ্ড সারা বিশ্বের সুখী দেশ গুলির মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে আছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে ডেনমার্ক, তৃতীয় স্থানে আছে নরওয়ে, চথুর্ত স্থানে আছে আইসল্যান্ড, পঞ্চম স্থানে নেদারল্যান্ড, ষষ্ঠ স্থানে আছে সুইজারল্যান্ড, সপ্তম স্থানে সুইডেন, অষ্টম স্থানে আছে নিউজিল্যান্ড, নবম স্থানে কানাডা এবং দশম স্থানে আছে অস্ট্রিয়া।
জাতিসংঘের ২0 মার্চ তারিখে জাতিসংঘের জন্য সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক দ্বারা বিশ্ব সুখের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল, যে তারিখ জাতিসংঘের সুখী আন্তর্জাতিক দিবস ঘোষিত হয়েছিল। ছয়টি চরিত্রের উপর সুখী দেশের সংজ্ঞা নির্ভর করে: আয়, স্বাধীনতা, বিশ্বাস, সুস্থ জীবন, সামাজিক সমর্থন এবং উদারতা।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক জন হেলিওয়েল রিপোর্টে বলেন, শীর্ষ 10 দেশ ছয়টি ভেরিয়েবলের পাশাপাশি সুস্থতার মানসিক উপায়ে উচ্চ পদে উন্নীত। হেলিওয়াল বলেন, “সবচেয়ে সুখী এবং সর্বাধিক সুসংগত সমাজগুলির সম্পর্কে কী দাঁড়িয়েছে তাদের স্থিতিশীলতা এবং খারাপ বিষয়গুলি মোকাবেলা করার ক্ষমতা।”
উপরের দিকে থাকা দেশগুলির উপর আঘাত আসে না এরকম নয়। কিন্তু আঘাত আসলে তারা কেমন ভাবে সেটাকে মোকাবিলা করে সেটাই আসল। উদাহরণ হিসাবে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার কথাই ধরা যাক। এরকম ভয়ঙ্কর হামলা হওয়া সত্ত্বেও সারা দেশবাসী একত্রিত হয়ে যেভাবে এই হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে সেটাই প্রমান করে যে নিউজিল্যান্ড কতটা শান্তিপ্রিয় দেশ।
জন হেলিওয়েল বলেছেন, ফিনল্যান্ডের অধিবাসীরা বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় অনেক সুখী এবং বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা সবথেকে সুখী হয়। খুশিতে থাকাটা ফিনল্যান্ডের অধিবাসীদের ডিএনে তে আছে। তিনি আরও বলেন, এখানকার অধিবাসীরা সরকারকে যথাযত ভাবে ট্যাক্স দেয়। তাঁরা তাদের সরকারকে বিশ্বাস করেন। এটা এমন একটি জায়গা যেখানে সবাই থাকতে পছন্দ করবে।