ঝাড়গ্রাম: নির্বাচন ঘোষণার পরই লাগু হয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। সেই নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি স্থানে কোন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর ছবি ব্যবহার করা যাবে না। ঝাড়গ্রাম পুরসভা এলাকায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ ঢাকতে গিয়ে চাপা পড়েছে মনীষীদের মুখও।
ঝাড়গ্রাম শহরের মধ্যে ৫ নম্বর রাজ্য সড়কের উপর ১১টি যাত্রী প্রতীক্ষালয় রয়েছে। ওই প্রতীক্ষালয় গুলির প্রত্যেকটিতে তিনটি করে ছবি সহ তাঁদের উদ্ধৃতি লেখা আছে। আর সাইনবোর্ডের মাঝে রয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। নির্বাচনের গেরোয় পড়ে পুরসভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ ঢাকতে গিয়ে বাকি সকলকেই ঢেকে ফেলেছেন। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের নেতারা।
এসএফআইয়ের ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক সৌতম মাহাতো বলেন,’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ ঢাকতে গিয়ে দেশের মনীষীদের মুখ ঢেকে ফেলা খুবই লজ্জাজনক কাজ! দ্রুত নেতাজি, রবীন্দ্র, নজরুল, বিবেকানন্দের মুখ খোলা উচিত প্রশাসন বা নিবার্চন কমিশনের।’ ঝাড়গ্রামের শিক্ষক কুণাল দে বলেন,’যিনি নির্বাচন বিধির মধ্যে পড়েন শুধু তাঁর মুখ ঢাকলেই হত। দেশের মনীষীদের মুখ ঢেকে ফেলা খুবই লজ্জাজনক কাজ। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত প্রশাসনের।’ নির্বাচনের গেরোয় মুখ ঢেকেছে রবীন্দ্র-নজরুল-বিবেকানন্দ, আব্দুল কালামরা।