বারে বারে প্রতিশ্রুতির পরেও হাল ফেরেনি দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে শাখার কাঁসাই হল্ট স্টেশনের


বৃহস্পতিবার,১৪/০৩/২০১৯
499

বাংলা এক্সপ্রেস---

পশ্চিম মেদিনীপুর: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে প্রয়াত ও সিপিআই সাংসদ প্রবোধ পান্ডা, এমনকি হালফিলের বিজেপি নেত্রী রুপা গাঙ্গুলীর বারে বারে প্রতিশ্রুতির পরেও হাল ফেরেনি দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে শাখার কাঁসাই হল্ট স্টেশন এর, বেহাল দশায় জেরবার যাত্রী সুরক্ষা থেকে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ মেদিনীপুর খড়গপুর দুই জংশনের মাঝে ছোট্ট স্টেশন কাঁসাই হল্ট। হল্ট স্টেশন হলেও নিত্যযাত্রীর সংখ্যাটা নেহাত কম নয়।

গোকুলপুর, লেলু্য়াখোলা, বড়কলা সহ বেশকয়েকটি গ্রামের মানুষের কাছে মেদিনীপুর, খড়্গপুরের সাথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই রেল যোগাযোগ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিত্যদিন প্রায় ৩২ জোড়া ট্রেন দাঁড়ায় এই হল্ট স্টেশানে কিন্তু নেই কোন প্লাটফর্ম, নেই কোন টিকিট কাউন্টারও। এমনকি পানীয় জল, বিদ্যুৎ কিংবা শৌচালয়ের মত ন্যূনতম পরিষেবাও নেই এই হল্ট স্টেশনে। ছাত্র ছাত্রী থেকে গ্রামের মানুষজন সকলকেই বহুকষ্টে ট্রেনের হাতল ধরে ঝুলে ট্রেনে উঠতে হয়, নামতে হয় ঠিক একই ভাবে। সামান্য অসাবধানতা কেড়ে নিতে পারে জীবনও।

কিন্তু জীবনের পরোয়া না করেই কার্যত বাধ্য হয়ে ট্রেনের সফর করতে হয় এই হল্ট স্টেশন এর যাত্রীদের। ২০১২ সালে প্ল্যাটফর্ম ওর টিকিট কাউন্টারের দাবিতে আন্দোলন সংগঠিত করেছিল গ্রামবাসীরা। নেতা থেকে মন্ত্রী একে একে অনেকেই সেসময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নয়া প্লাটফর্ম বানানোর। মমতা ব্যানার্জি থেকে প্রয়াত সিপিআই সাংসদ প্রবোধ পান্ডা এমনকি হালফিলের বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলীও নয়া প্ল্যাটফর্মের আশা দেখিয়েছিলেন ছাপোষা এই গ্রামবাসীদের। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে প্রতিশ্রুতিও ভুলে গিয়েছেন নেতা-নেত্রীরা। আর তাই হাজার ক্ষোভ থাকলেও তা মনের মধ্যে পুষে নিত্য যাত্রা করতে হচ্ছে পাঁচটা গ্রামের বাসিন্দাদের।

বিষয়টি নিয়ে খড়গপুর ডিভিশনের রেলওয়ে বিভাগের আধিকারিকদের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তাদের তরফ থেকে। রেলের উদাসীনতায় ছাত্র থেকে শুরু করে সাধারণ গ্রামবাসীদের এই দুর্ভোগ কত দিনে কাটে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট