আগেই চুনকাম টানা এবং প্রতিক আঁকার কাজ হয়েছিল।অপেক্ষা ছিল প্রার্থীর নাম ঘোষণার। মঙ্গলবার মমতা ব্যানার্জি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতেই ভাঙড়ের তৃণমূল নেতারা রং-তুলি হাতে নেমে পড়েন দেওয়াল লিখনের কাজে। ভাঙড় হল যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। আর এবার এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। এদিন প্রার্থী ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ভাঙড় ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি ওহিদুল ইসলাম এবং ভাঙড় ১এ তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কাইজার আহমেদকে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়াল লিখতে।
কাইজার – ওহিদুল ছাড়াও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি আব্দুর রহিম। ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কার্যকরী সভাপতি বাহারুল ইসলাম। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতারা স্ব-দলবলে ভোটের ময়দানে নেমে জানিয়ে দিলেন যে, তাঁরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে তৈরি বিরোধীদের মোকাবিলা করার জন্য। তাঁরা এটাও বোঝালেন যে, ভাঙড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকলেও ভোটের ময়দানে তারা সবাই একসঙ্গে থেকে লড়াই করবেন।
মিমি চক্রবর্তী রেকর্ড সংখ্যক ভোটে জয় লাভ করবেন বলে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতারা আশা করছেন। ভাঙড় থেকে সব থেকে বেশি লিড হবে বলে তাদের দাবি। উল্লেখ্য ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে সুগত বসু ভাঙড় থেকে ৬৪ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিলেন। এবারে তৃণমূলের প্রার্থী সেলিব্রেটি হওয়ার কারণে ভাঙড় থেকে ভোটের লিড আরো বেশি হতে পারে বলে কর্মীরা আশাবাদী। তৃণমূল কংগ্রেস এর আগে দুবার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয় লাভ করে। ২০০৯ সালে সংগীতজ্ঞ কবীর সুমন এবং ২০১৪ সালে শিক্ষাবিদ সুগত বসু যাদবপুর থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। এবার আবারও কোন অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে প্রার্থী করলেন মমতা ব্যানার্জি। কার্যত তাই বলা চলে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রটি অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষিত।
ভাঙড় ১এ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাইজার আহমেদ বলেন, মিমি চক্রবর্তী ভাঙড় থেকে রেকর্ড সংখ্যক ভোটের লিড পাবেন। ভাঙড় ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ওহিদুল ইসলাম বলেন, তৃণমূল সরকার যেভাবে উন্নয়ন করে চলেছে, তাতে আমাদের প্রার্থী ব্যাপক ভোটের ব্যাবধানে জয়লাভ করবেন।