ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত “ডিজিটাল বাংলাদেশ” গড়ার অঙ্গীকার নিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের সেই কর্ম যজ্ঞে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। গত 2 রা মার্চ বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার চৌদ্দ গ্রাম পৌরসভায় স্থিতি শিল উন্নয়ন ও স্থিতি শীল শহর গড়ার লক্ষে একদিন ব্যাপী একটি কর্ম শালার ব্যবস্থা করেন। সেই কর্ম শালায় বিশিষ্ট পরিবেশবিদ ও নগর পরিকল্পনা ট্রেনার হিসেবে যোগদান করেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ তাপস।
একদিনের এই কর্ম শালায় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, পৌর সচিব হারুনুর রশীদ,উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল আলিম,প্যানেল মেয়র আলহাজু কালাম, পৌর কাউন্সিলর বৃন্দ, পৌরসভার সকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ব্যবসায়ী,সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। প্রদেয় মোট 20 দফা কর্মসূচির মধ্যে ছিল পরিবেশ রক্ষা,সবুজায়ন, প্লাস্টিকবিহীন পৌরসভা,গর্ভঘর তৈরি, মাতৃস্নেহ ঘর তৈরি, নির্দিষ্টধূমপান কক্ষ তৈরি, সলিড ওয়েস্টম্যানেজমেন্ট, নারী সুরক্ষা, শিশু কল্যাণপ্রকল্প, মাতৃভাষায় সাইনবোর্ড লেখা, পণবিহীন নগর গঠন প্রভৃতি।
ডঃ তাপস পাল ভারত,আমেরিকা,ভুটান ,জাভা থাইল্যান্ড ,দক্ষিণ কোরিয়া থেকে প্রাপ্ত টেকসই উন্নয়নের জ্ঞান পৌরবাসীর মধ্যে তুলে ধরেন এবং ‘নব্য উন্নয়ন” বা “নিও ডেভলপমেন্ট” নামক একটি নতুন শব্দের জন্ম দিলেন। তিনি বলেন বর্তমানে স্থিতিশীল উন্নয়ন কার্যকরী করতে হলে “নিও ডেভলপমেন্ট” কে অনুসরণ করতে হবে। চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা তাপসবাবুর সকল প্রস্তাব গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেছেন ও পরিচালক হিসেবে তাপস বাবু কে পেতে ইচ্ছুক। ২০২১ এর মধ্যে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এবং ২০৪১ এর মধ্যে ‘উন্নত বাংলাদেশ’ এর তকমা দিতে চাইছেন।
এই দিক কে মাথায় রেখে মেয়র মিজানুর রহমান তাপস বাবুর ‘নেও- ডেভেলপমেন্ট’ ধরনাকে কাজে লাগাতে চাইছেন | ইতিমধ্যে রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাসের সাথে চট্টগ্রামের মেয়র মিজানুর রহমান এর মধ্যে স্থিতিশীল উন্নয়নে যৌথ অভিযানের জন্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগাযোগের সেতু তৈরি করে দিয়েছেন অধ্যাপক তাপস পাল এবং ভারত বাংলাদেশ যৌথ উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হতে চলেছে তাপস বাবুর হাত ধরে।
চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজে একইসাথে 3 রা মার্চ 3 ঘণ্টার একটি বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করে টেকসই উন্নয়নের ব্যাপারে ৩০০ শিক্ষার্থীকে সচেতন করতে এবং তাপস বাবুকেই এর মুখ্য দায়িত্বভার দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত রাষ্ট্রপুঞ্জের 17টি স্থিতিশীল উন্নয়ন মূলক লক্ষ্যের মধ্যে কোথাও ভাষার উল্লেখ নেই । এ বিষয়ে তিনি বিশেষভাবে আলোকপাত করেন ও বলেন ভাষাকেও 18 তম লক্ষ হিসেবে নিযুক্ত করে Language ও sustainable development হিসেবে নতুন লক্ষ্যআনতে হবে।
তার এই নতুন বার্তা ঢাকা শহরের ক্ষিতিনাট্য ভবনে গত 21 শে মার্চ চেতনা পরিষদের (নিউইয়র্ক) উদ্যোগে ‘বাংলায় লিখুন,বাংলায় বলুন’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট ভাষা সৈনিক কামাল লোহানি, ভাষা সৈনিক অধ্যাপক টিপু, ভাষা সৈনিক ফুলে হুসেন, ভাষা সৈনিক সরিফা খাতুনদের মতো কিংবদন্তি মানুষদের সাথে একমঞ্চে বক্তব্য রাখলেন । তাপস বাবু বলেন মাতৃভাষা রক্ষার মধ্য দিয়ে জাতি তার নিজস্ব পরিচিতি ও সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারে এবং রায়গঞ্জ শহরের ভূমিপুত্র হওয়ায় তিনি সমগ্র বিশ্বে ভাষা নিয়ে রায়গঞ্জবাসির ভাবনা এবং রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাচিন্তাকে তিনি তুলে ধরেন।