ইসলামপুর থেকে রায়গঞ্জ যাওয়ার ট্রেন এর ব্যাবস্থা না হলে আন্দোলনে নামার হুমকি


শনিবার,০২/০৩/২০১৯
509

পিয়া গুপ্তা---

ইসলামপুর থেকে রায়গঞ্জ যাওয়র জন্য কোনো সকালে ট্রেনের দাবি উঠল। জানা যায় ইসলামপুর থেকে সকালবেলা রায়গঞ্জ যাওয়ার কোনো ট্রেন এর ব্যাবস্থা না থাকায় প্রায় দিনই নিত্য যাত্রীদের বহু সমস্যার মুখে পড়তে হয়। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রায়গঞ্জ জেলা সদর তাই নানা প্রযোজনে ইসলামপুরের বাসিন্দাদের রায়গঞ্জ এ যেতে হয়। ইসলামপুর থেকে রায়গঞ্জের দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার। মাঝে ডালখোলার কুখ্যাত যানজট।

ডালখোলায় যানজটের জেরে এমনিতেই যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল পরিস্থিতি। রায়গঞ্জ থেকে ইসলামপুর এ ঘণ্টাতিনেক সময় লাগে। কিন্তু যানজটে পড়লে কত সময় লাগবে সে বিষয়ে নিশ্চয়তা নেই। ফলে রায়গঞ্জ যেতে হলে রীতিমতো আতঙ্কে থাকেন বাসের ড্রাইভার ও কনডাক্টর থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীরা।

স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি থেকে রায়গঞ্জ যাওয়ার জন্য একটি ডিইএমইউ প্যাসেঞ্জার ট্রেন রয়েছে। তাতে চেপেই ইসলামপুরের আলুযাবাড়ি রোড স্টেশন থেকে রায়গঞ্জ যাওযা যায়। কিন্তু ট্রেনটি প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটায় আলুয়াবাড়ি রোড ছেড়ে যায়। দিনে বারসই জংশনে নেমে ট্রেন বদলে যাওযার ব্যবস্থা থাকলেও সারা দিনে মাত্র একটি ট্রেন রয়েছে। সময়মতো পৌঁছাতে না পারলে সেই ট্রেন আদৌ পাবেন কিনা, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকে যায় যাত্রীদের মধ্যে। অবশেষে ট্রেন না পেলে বাস কিংবা ছোটো গাড়ির ভরসা করতে হয়।

এক নিত্য যাত্রী অশোক ঘোষ জানান কোনো ট্রেন না থাকায় বাসের ভরসা করতে হয় । কিন্তু বাসের কনডাক্টরকে জিজ্ঞাসা করা হয়, রাযগঞ্জ কখন পৌঁছাবে তাঁরা উত্তর দিতে পারেন না। কারন ডাল খোলার যানজট সাধারন মানুষ কে নিত্য দিন ভোগায়।ইসলামপুর নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক হিমাংশু সরকার বলেন, এই দাবি ইসলামপুরের দীর্ঘদিনের। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা একাধিকবার রেলকে স্মারকলিপি দিয়েছেন, স্থানীয় সাংসদকে জানিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। তবে এই বিষয় টি নিয়ে শীগ্রই কিছু না করা হলে তারা পরবর্তীতে বড় এক আন্দোলনে নামার হুমকি দেন।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট