সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সভার প্রেস বিবৃতি


শুক্রবার,০১/০৩/২০১৯
891

বাংলা এক্সপ্রেস---

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী), পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সভা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিমান বসু। সভার শুরুতেই পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত আধা-সামরিক জওয়ানদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। সভায় দেশ ও রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলায় জওয়ানদের মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোক ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষোভকে ব্যবহার করে এবং পরবর্তী সময়ে ভারতীয় বিমানবাহিনীর অভিযানকে ঘিরেও কেন্দ্রের শাসক দল রাজনৈতিক ফয়দা তোলার চেষ্টা করেছে। যুদ্ধজিগির তোলার চেষ্টা চলেছে।

সিপিআই(এম) সারা দেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও জওয়ানদের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপনের সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার দাবি তুলেছে। একই সঙ্গে কাশ্মীরে রাজনৈতিক সমাধান এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরির সপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছে। এই অবস্থানের পক্ষে জনগণের মধ্যে প্রচার চালিয়ে যাবার পক্ষে রাজ্য কমিটি আহ্বান জানিয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বান: বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটকে পরাস্ত করো, সংসদে সিপিআই(এম) ও বামপন্থীদের শক্তিবৃদ্ধি করো, কেন্দ্রে বিকল্প ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠন করো। এই লক্ষ্যেই বিজেপি-বিরোধী ভোটকে সর্বোচ্চ সম্ভব একজায়গায় জড়ো করার নির্বাচনী কৌশল নেওয়া হবে।

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরোধী সমস্ত ভোটকে এক জায়গায় সমবেত করতে চায় সিপিআই(এম)। সেই লক্ষ্যেই উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে রাজ্য কমিটি জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই বামফ্রন্টে আলোচনা শুরু হয়েছে। সভায় রাজ্য সম্পাদক সূর্য মিশ্র বলেছেন, ‘আমরা বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে সমস্ত মানুষের ভোটকে এক জায়গায় সমবেত করতে চাই; সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিতে আমরা প্রস্তুত’। রাজ্য কমিটির সভায় বলা হয়েছে, জনগণের জীবনজীবিকার দাবিকে সামনে তুলে ধরেই প্রচার চালাতে হবে। গত কয়েক মাসের ধারাবাহিক আন্দোলন, সাধারণ ধর্মঘট ও ব্রিগেড সমাবেশের সময়ে উত্থাপিত দাবিই বামপন্থীদের বিকল্প।

এই বিকল্পকে আরো জোরের সঙ্গে তুলে ধরেই জেলায় জেলায় জনগণকে সমবেত করতে হবে। রাজ্যে কৃষকরা ফসলের দাম পাচ্ছেন না। আলুচাষীরা কঠিন সঙ্কটের মুখে পড়েছেন। আলুর ন্যায্য দামের দাবিতে রাজ্যব্যাপী কৃষক আন্দোলনকে রাজ্য কমিটি সমর্থন করেছে। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক এক নির্দেশে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে লক্ষ লক্ষ আদিবাসী জনগণ ও বনাঞ্চলে চিরাচরিত বাসিন্দারা বনাধিকার আইনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে উৎখাতের মুখে পড়েছেন।

একজন আদিবাসী ও বনাঞ্চলের চিরাচরিত অধিবাসীদের উৎখাত করা যাবে না-এই দাবিতে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে রাজ্য কমিটি। চিট ফান্ডে প্রতারিত মানুষ লক্ষ লক্ষ এখনও অর্থ ফেরত পাননি। তদন্তের নামে প্রহসন চলছে। চিট ফান্ডের প্রতারিতদের টাকা ফেরত ও সমস্ত অপরাধীকে শাস্তির দাবিতে আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছে রাজ্য কমিটি।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট