হাওড়া: কয়েক মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেল হাওড়া গ্রামীণের আমতা, জয়পুর বিস্তীর্ণ এলাকা। বুধবার বিকাল চারটে নাগাদ হঠাৎ ঘুর্নিঝড় শুরু হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঝড়ে ভেঙে পড়তে থাকে মাটির বাড়ি, গোয়াল ঘর, গাছ ও বিদ্যুতের পোষ্ট। জয়পুর এলাকাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল। এমনিতেই আলুর দাম কমে গিয়েছে তার উপর টানা বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষতির মুখে জেলার আলুচাষিরা। কয়েকদিন ধরেই হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিল ঝড় বৃষ্টির।
সেই পূর্বাভাস মতো রবিবার থেকে জেলা জুড়ে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। তবে সোমবার রাতে ঝড় ও বজ্র বিদ্যুতসহ শিলা বৃষ্টির জেরে মাথায় হাত চাষিদের। হাওড়া জেলার আমতা,জয়পুর,উদয়নারায়নপুর, সহ বিস্তৃর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে আলু,সবজি চাষিরা। দফায় দফায় শিলা বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া চলায় আলু জমিতে এক হাঁটু সমান জল জমে গিয়েছে। আলু ১০০ থেকে ১১০ টাকা বস্তা তারউপর এই বৃষ্টির জেরে আলু জলের তলায়। তাই আলু বিক্রি করতে পারবেন কি চাষিরা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
অজয় মালিক নামে এক আলু চাষি জানান, মহাজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আলুর বীজ, সার কিনে আলু চাষ করেছি। এখন যা অবস্থা তাতে আসল টাকাই উঠবে না। মহাজনের ধার শোধ করব কি করে? এক বিঘা আলু চাষ করতে খরচ ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা বর্তমানে আলুর যা দাম তাতে ঘরে আসছে ৮ হাজার টাকা মতো। এই অবস্থায় সংসার চলবে কি ভাবে তাই ভেবে কুল পাচ্ছেন না আলু চাষি থেকে সবজী চাষি সকলেই।