হাওড়া: হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় হঠাৎ রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত দফায় দফায় ঝড় বজ্রপাত বৃষ্টি ধেয়ে আসে। বসন্তের মরসুমে হঠাৎ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটায় বিস্তৃর্ণ এলাকায় নিম্ন মানের গৃহ, গাছপালা, কোথাও কোথাও জমির ফসল ক্ষতির সম্মুখীন কৃষক শ্রমিক পরিবার।
ঝড়ের দাপটে নিম্ন মানের গৃহের টালির , টিনের, তৃপল,খড়ের ছাউনি উড়ে গেছে।গত রবিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা তৎপরতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন । কোথাও কোথাও কৃষকের জমির ফসল ঝড়ের কারনে কাত হয়ে শুয়ে পড়ে আছে।এলাকার দরিদ্র দিনমজুর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জনসাধারণের নিম্ন মানের মাটির বা কাঁচা গৃহের ভিষন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। পঞ্চায়েত ব্যবস্হার মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা হবে বলে সূত্রে জানা গেছে।
ব্যাপক ক্ষতির মুখে আলু, কপি, কড়াই, টমেটো ও ফুল চাষ। ও উদয়নারায়নপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হয় আলুর চাষ। বৃষ্টি ও প্রবল ঝড়ের ফলে জল জমে গিয়েছে আলু গাছের গোড়ায়। আলু তোলার মুখে গাছের গোড়ায় জল জমে যাওয়ার ফলে নষ্ট হয়ে যাবে আলু।
পাশাপাশি গাছের গোড়ায় জল জমে যাওয়ার ফলে নষ্ট হয়ে যাবে টমেটো, কপি ও বিভিন্ন ধরনের কাঁচা সবজি।উদয়নারায়নপুর এলাকার কয়েকহাজার চাষী। তাদের আশঙ্কা সরকারি সাহায্য না পেলে না খেতে পেয়ে মরতে হবে তাদের। ক্ষতির সম্মুখীন বাগনানের ঘোড়াঘাটা, দেউলটি এলাকার কয়েক হাজার ফুল চাষী।
তাদের দাবি বৃষ্টি ও ঝড়ের কারনে নষ্ট হয়ে গেছে গোলাপ গাছ, ডালিয়া, সহ একাধিক মরসুমী ফুলের গাছ। ফুল চাষীদের আশঙ্কা গোলাপ ফুলের উপর খুব বেশি প্রভাব না পড়লেও মরসুমী ফুলের গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তারা চরম লোকসানের মুখে পড়বেন। উলুবেড়িয়া মহকুমা শাষকের দপ্তরের সামনেও রোডের উপর একটি গাছ ভেঙে পড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েকটি দোকান।
এলাকার জনপ্রতিনিধিরা নিজ নিজ এলাকায় ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গেছে। হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও বিধায়ক পুলক রায় বলেন সকল বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।