প্রশ্নপত্র ফাঁস আটকাতে পাঁচ দফা নিরাপত্তা পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা হলে ধরা পরলে অপরাধ অনুযায়ী বাতিল হতে পারে পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন। উচ্চ মাধ্যমিক ও একাদশ শ্রেণি 2019 এর পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজ পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এ সাংবাদিক সম্মেলন করলেন সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস। এই বছরের উচ্চ মাধ্যমিক এবং নতুন সিলেবাসে পরীক্ষা শুরু হবে 26 শে ফেব্রুয়ারি থেকে 13 ই মার্চ পর্যন্ত।এই বছরে মোট উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা 8,16,243 জন।
22 টি জেলায় ছাত্রী পরীক্ষার সংখ্যা বেশি। ছাত্রদের থেকে ছাত্রী সংখ্যা প্রায় 63413 জন বেশি। মোট 713 টি পরীক্ষা কেন্দ্র ও 2117 ভেনুতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে।আজ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অ্যালটমেন্ট চাট তুলে দেওয়া হবে। দশটার সময় কম্পিউটার জেনারেট নাম্বার মাধ্যমে ট্রাকিং সিস্টেমএ প্যাক করা প্রশ্নপত্র খোলা হবে,এক সেকেন্ড আগে প্রশ্নপত্র খোলা যাবে না। পরীক্ষা হলে তিনজন করে invigilator থাকবে এর পাশাপাশি ভেনু সুপারভাইজারদের জন্য এক্সামিনেশন সিকিউরিটি ফরম্যাট দেওয়া হবে, যেখানে টিচার বা নন টিচিং স্টাফ সহ যে কেউ মোবাইল নিয়ে ঢোকে তাহলে এক্সামিনেশন সিকিউরিটি ফরমেট ফিলাপ করে সংসদে পাঠাতে হবে।
কোন পরীক্ষার্থী যদি মোবাইল নিয়ে ধরা পড়ে তবে অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী অবিলম্বে তার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে। প্রতিটি ভেনু সুপারভাইজার কাছে একটি কোশ্চেন ডিস্ট্রিবিউশন ফরমেট পাঠানো হয়েছে সেই অনুযায়ী প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ, টোকাটুকি করা, শিক্ষক নিগ্রহ, পরীক্ষা কেন্দ্র ভাঙচুর এবং পরীক্ষার খাতার কোন অংশ বাড়িতে নিয়ে এলে অর্থাৎ এই পাঁচটি নিয়ম লংঘন করলে সুপারভাইজার সেই পরীক্ষার্থীর খাতা রিপোর্টের এগেনস্ট করতে বাধ্য হবে। এই বছর একাদশ শ্রেণী ও দ্বাদশ শ্রেণীর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা 19 লক্ষ কুড়ি হাজার। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় 42 টি বিষয়ে বাংলা ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় প্রশ্নপত্র করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে বলে জানান তিনি।