ভ্যাটও নেই, নোংরা – আবর্জনা মারিয়ে যাতায়াত অভিযোগ, এলাকাবাসীর


বৃহস্পতিবার,২১/০২/২০১৯
505

আক্তারুল খাঁন---

হাওড়া: ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন নেই কোনও কাউন্সিলর। পুরো এলাকার অনেকটা জায়গা জুড়ে নেই কোনো ভ্যাটও। তাই রাস্তায় ধারে অপরের ফেলে রাখা জায়গাতেই বাসীন্দারা প্রতিদিন ফেলছেন নোংরা-আবর্জনা। কুকুর-বিড়ালরা সেই আবর্জনা টেনে আনছে রাস্তায়। আর তার উপর দিয়েই নিয়মিত যাতায়াত করছে স্কুল ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ নিত্যযাত্রীরা। হাওড়া পুরসভার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ধাড়সা হরিসভাতলায় এই চিত্র এখন নিত্যদিনের।

প্রসঙ্গত গত পুরসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন বিনদানন্দ ব্যানার্জি। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য প্রায় সাড়ে তিনবছর আগে তিনি মারা যান। স্থানীয় বাসীন্দাদের অভিযোগ, তারপর থেকেই এই ওয়ার্ডের পুরসভা নিয়ন্ত্রিত অনেক কাজ থমকে। এই এলাকার স্থানীয় বাসীন্দা অতনু রায় জানান, এখানে একটি ভ্যাট দরকার। ভ্যাট নেই বলে স্থানীয়রা এখানে নোংরা-আবর্জনা ফেলে।যার ফলে গন্ধে টেকা যায়না।

এই নোংরা-আবর্জনা রাস্তায় এসে পড়েছে। এরফলে রোগ-ব্যাধী ছড়ার আশঙ্কা করছি আমরা। অতনুবাবু আরও জানান, কাউন্সিলর নেই বলে পুরসভার আবর্জনা তোলার গাড়ি অন্য ওয়ার্ডে এলেও এখানে তেমন আসেনা। তাই এখানে আবর্জনা জমে জমে স্তূপ হয়ে গিয়েছে। কাউন্সিলর নেই বলে সেভাবে কেউ দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। এই বিষয় নিয়ে একইরকম অভিমত অনান্য বাসীন্দারদেও। এ সম্পর্কে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যার জায়গায় ময়লা ফেলা হচ্ছে তাঁর বাড়ি বেশ অনেকটা দূরে।হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে চাকরির সূত্রে থাকতেন।

কিন্তু তিনি এখন ওখানেই না অন্যত্র কোথায় থাকেন তা নির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারছেন না। তবে তাঁকে অনেকবার ফোন করা সত্ত্বেও তিনি ফোন ধরেননি। এখন হাওড়া পুরবোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় প্রশাসক বসেছে। দায়িত্বে আছেন কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ। তিনি বিভিন্ন সেক্টরের মেয়র কপসদের নিয়ে পৌর কাজ চালাচ্ছেন। এই ওয়ার্ডেরই বাসীন্দা হাওড়া পুরসভার মেয়র কপস সন্দীপ হালদার জানান, আমরা কিছুদিন আগেই ওখান দিয়ে দু’লরি আবর্জনা তুলেছি। এখনও সেখানে আবর্জনা জমে আছে। কিন্তু পুরসভার বক্তব্য ভ্যাট থেকে নোংরা-আবর্জনা জমলে সেটা পুরসভা তুলবে।

কিন্তু ওটা তো ভ্যাট নয়। লোকের ফেলে রাখা ব্যক্তিগত জায়গা। তাছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে করলেও ওই নোংরা আমরা ফেলবো কোথায়? তবে এ সম্পর্কে সাত নম্বর বোরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুদীপ্ত গুহ ও নির্মল করের সঙ্গে কথা হয়েছে। খুব শ্রীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি এই ওয়ার্ডে আরও সাতটি নতুন ঢাকা ভ্যাট নির্মাণ করবে পুরসভা। হাওড়া পুরসভার বর্তমান প্রশাসক কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ জানান, ৪৪ থেকে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে আবর্জনা তোলার কাজ শুরু হয়েছে। যেহেতু ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর দীর্ঘদিন নেই তাই প্রথম দিকে কাজে কিছুটা অসুবিধা হয়েছে। তবে কিছুদিন আগে থেকে ৪৪ থেকে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে আবর্জনা তোলার কাজ আরম্ভ হয়েছে। খুব শ্রীঘ্রই ওখানেও নোংরা-আবর্জনা তোলার কাজ শুরু হবে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট