আইএল-এফএস ঋণভারে জর্জরিত হওয়ায় দেশের লক্ষ লক্ষ প্রভিডেন্ট ফান্ড গ্রাহকের সঞ্চিত আমানত খোয়া যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মমতা। পুরো ঘটনার তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই আইএল-এফএস-র ঋণ এখন প্রায় ৯১ হাজার কোটি টাকা। IDBI, SBI, IOCL, CIDCO, HUDCO র মতো বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কয়েক লক্ষ কর্মচারীর প্রভিডেন্ট ফান্ড ও পেনশন ফান্ডের টাকা এই আইএল-এফএস এ বিনিয়োগ করা হয়। কিন্তু ২০১৮ র সেপ্টেম্বর মাসে হঠাৎ করেই দেখা যায় এই সংস্থার ক্রেডিট রেটিং কমিয়ে দিয়েছে বিভিন্ন ক্রেডিট রেটিং সংস্থা।
যদিও ঐ বছরেরই জুন মাসে এর ক্রেডিট রেটিং ছিল ‘এএএ’। তাহলে কি এমন হল যে মাত্র তিন মাসের মধ্যে ওই সংস্থার ক্রেডিট রেটিং এত কমে গেল ? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই সংস্থায়(আইএল-এফএস) জাপান ও আরবের দুটি সংস্থা বিনিয়োগ করেছে। এখন এই সংস্থার ক্রেডিট রেটিং এইভাবে হঠাৎ করে এত কমে গেলে বিশ্বের অর্থনৈতিক বাজারে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি খারাপ হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী আরো অভিযোগ করে বলেন যে এমনিতেই নোট বন্দি ও জিএসটির ফলে দেশের সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এমন সময় এই সংস্থার আর্থিক বিপর্যয়ের খবরে এই সংস্থায় বিনিয়োগ করা সাধারণ মানুষের সঞ্চয় প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ কোন একটি উচ্চপর্যায়ের নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।