পুলওয়ামার ঘটনায় আমরা সবাই কনডেম করেছি। আমরা বিরোধীরা সবাই একসঙ্গে সরকারের সাথে আছি এই বার্তা দিয়েছি। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা গত ৪৮ ঘন্টা ধরে অন্য জিনিস দেখছি। সবাইকে Anti National বলে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি সাংবাদিকদেরও anti-national বলা হচ্ছে।
রাত একটার সময় জাতীয় পতাকা নিয়ে বিজেপি, আরএসএস, বিএইচপি-র কিছু মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছে। বাইরের থেকে লোক এসে হিন্দু-মুসলমান শিখ খ্রিস্টান দাঙ্গা লাগিয়ে দিচ্ছে। আমেরিকা তো ৪ মাস আগে ইন্টালিজেন্স বার্তা দিয়েছিল, বলেছিল নির্বাচন আসলে এই ভাবে দাঙ্গা লাগানো হতে পারে।
যখন সরকারের কাছে খবর ছিল এমন আক্রমণ হতে পারে তাহলে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হল না কেন ? কেন আগে অ্যাকশন নেওয়া হয়নি ? কেন এতগুলো লোক একসাথে মরতে হলো ? আমরা চুপ করে বসে আছি আর দেখেছি ওরা শুধু ভাষণ দিয়ে বেড়াচ্ছে এমন ভাবে বলে বেড়াচ্ছে যে ওরাই শুধু দেশপ্রেমিক আর আমরা দেশদ্রোহী সবার কাছে আমার আবেদন_ কেউ কেউ প্ররোচনা, কুৎসা করে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে আমার যেন এই প্রোরোচনায় পা না দিই।
এটা বিজেপি, আরএসএস, বিএইচপির প্ল্যানটেড গেম। এই প্ল্যানটেড গেম করে ওরা দেশে দাঙ্গা বাঁধাতে চায়। *কোন ইন্টালিজেন্স ইনপুট থাকা সত্বেও ওই রাস্তা দিয়ে কত জন জন কে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? কেন এয়ার লিফট করেনি? কেন ট্রেনে করে নিয়ে যাওয়া হয়নি ? কেন ঐ রাস্তা sanitisation করা হয় নি।
এ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করা নিয়ে যে ঝামেলা হচ্ছে সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, আমি পুলিশকে নির্দেশ দিচ্ছি কখনো দাঙ্গাকে মদত দেওয়া যাবে না, দাঙ্গা দেখে চুপচাপ থাকা যাবে না। Strongly situation handle করতে হবে। প্রশাসনের পাশাপাশি সমস্ত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন রাজনৈতিক দলকে আপিল করবে এই দিকে নজর দিতে।
পাকপ্রেমী বলতে কাদের বোঝাচ্ছে। তোমরা পাকিস্তান কে এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে করলে কিভাবে। এই ৫ বছরে কোন অ্যাকশনটা তুমি করেছ। নির্বাচনের আগে এমন একটা shadow war দরকার পরলো ?
এত বড় ঘটনার পর দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ না করে বড় বড় কথা বলছেন?
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে মমতা বলেন, পাকিস্তান নিয়ে আমার নিজের কিছু মতামত রয়েছে, যদি আমাদের ইউনাইটেড ইন্ডিয়া বৈঠকে এই বিষয়ে মতামত দেওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে আমি সেখানে মতামত জানাবো অথবা যদি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয় তাহলে সেখানে এই বিষয়ে আমি আমার মতামত জানাবো।