ভাঙড়:২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন আসন্ন।যে কোন মূহূর্তে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করতে পারে নির্বাচনী নির্ঘন্ট।ইতিমধ্যেই এরাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ৪২ এ ৪২ শ্লোগান তুলে প্রচার শুরু করে দিয়েছে।অন্যদিকে বিজেপি ২২ টি আসন টার্গেট করে এগোচ্ছে।বাম-কংগ্রেসও সংগঠন সাজাতে শুরু করেছে নূন্যতম আগের আসন গুলি ধরে রাখার জন্য।
সারা রাজ্যের সঙ্গে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলাতেও এসে পড়েছে সেই ঢেউ।আর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নাম বললেই যে জায়গার নামটি উঠে আসে তার নাম ভাঙড়।যার দিকে শুধু জেলা নয় নজর থাকে গোটা রাজ্যেরও।আর ভাঙড় নামটি উচ্চারিত হলে যে নামটা সবার আগে উঠে আসে তিনি হলেন আরাবুল ইসলাম।এক সময় তিনি ছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক।তারপর ২০১১ সালে আবার বিধানসভায় প্রার্থী হন।কিন্তু দলীয় কোন্দলের কারণে বাম প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন আরাবুল।তারপরে অনেক জল গড়িয়েছে।
ক্রমেই আরাবুর ইসলামের অবনমন হতে থাকে।২০১৩ সালে বিধায়ক থেকে হন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।২০১৮ সালে পঞ্চায়েত সমিতির আসনে জেলে থেকেই পাওয়ার গ্রীড অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হন।এবার ফের অবনমন।সভাপতি পদ সংরক্ষিত হওয়ার কারণে আরাবুল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির পদ পান।বলা চলে বাঘ থেকে বিড়াল।কিন্তু আরাবুল নামটাই তো যথেষ্ট।যাকে কোন পদ দিয়ে বিচার করা যায় না।আরাবুল মানেই এক ব্যতিক্রমী চরিত্র।যিনি ভালো করেন আর মন্দ করেন সেটা নিজের হাতেই করেন।অপর দিকে আর এক ব্যতিক্রমী চরিত্র হলেন অনুব্রত মণ্ডল।যিনি বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি।
গুড় বাতাসা কিংম্বা চড়াম চড়াম ঢাকের দাওয়াই লোকপ্রিয় হয়ে উঠেছে।২০১৯ এর লোকসভা ভোটে অনুব্রত মন্ডলের নতুন দাওয়াই হল উর্বর জমি,পাঁচন দিয়ে চাষ করতে হবে।কিন্তু ভাঙড়ের আরাবুল ইসলাম জানিয়ে দিলেন এখানে কোন দাওয়াইয়ের প্রয়োজন হবেনা।মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নই দাওয়াই।দিদির উন্নয়ন দেখেই মানুষ তৃণমূলকেই ভোট দেবে।