আজকে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই অফিসাররা কথা বলতে গেলে তাদের কলকাতা পুলিশ বাধা দেয় এবং ধরে বেঁধে শেক্সপিয়ার সরণি থানাতে নিয়ে আসে। আবার মুখ্যমন্ত্রী ডিজিপি সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে যান যা নজিরবিহীন ঘটনা। যদিও একথা সত্য অন্যান্য স্বাধীন সংস্থার মত সিবিআই-র ওপর মোদী সরকারের হস্তক্ষেপ এখন প্রায় পাঁচ বছরের শাসনে প্রমাণিত সত্য। বামেদের ঐতিহাসিক ব্রিগেড সমাবেশের সাফল্য থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিতেই এই কাজ করা হয়েছে।
পাঁচ বছর ধরেই এই বিষয়টি প্রহসনে পরিণত হয়েছে। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মত আরও বৃহত্তর চক্রান্ত উদঘাটন করতে আগেই তৎপর হওয়া যেত। লক্ষ লক্ষ চিটফান্ডের আমানতকারির কোটি কোটি টাকা যারা আত্মসাৎ করেছে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে প্রতারিত আমানতকারির টাকা ফেরৎ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি। প্রতারিতদের অনেকেই অবসাদের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁদের বিষয়টা কেন্দ্র রাজ্য উভয় সরকারের পক্ষ থেকে অনেক আগে থেকে দেখা উচিৎ ছিল যা রাজ্যের তৃণমূল এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বোঝাপড়ার কারণে করেনি।
শুরু থেকেই মুখ্যমন্ত্রী চিটফান্ডের বিষয়ে অতি নাটকীয় পথ ধরে মূল অপরাধ থেকে নজর ঘোরাতে চাইছেন। কেন্দ্রীয় সরকারও বিষয়টি জিইয়ে রেখে এই নাটকে ইন্ধন যুগিয়ে চলেছে এবং আমানতকারিদের প্রতারিত করে চলেছে। আমাদের পার্টি প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে যে প্রতারকদের গ্রেপ্তার করে তাদের শাস্তি বিধান করে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সকল আমানতকারিদের টাকা দ্রুত ফেরৎ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বিজেপি এবং তৃণমূলের বোঝাপড়ার ভিত্তিতে একে অপরকে ব্যক্তিগত ভাবে দোষারপের মধ্য দিয়ে রাজ্যবাসী বা আমানতকারিদের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে।
আমাদের দাবি অপরাধীদের ধরো, জেলে ভরো এবং প্রতারিত গরিব মানুষের টাকা ফেরৎ দাও। এই দাবিতে আমরা আমাদের পার্টির সমস্ত ইউনিটকে অন্যান্যদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে অবিলম্বে প্রচার আন্দোলন সংগঠিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।