ঝাড়গ্রাম: শুক্রবার ঝাড়গ্রাম আদালতে পক্সো মামলার প্রথম রায় ঘােষনা হল। একস্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত এক যুবককে তিন বছরের জেল এবং ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরাে ছয় মাসের কারাদন্ড ঘােষনা করেন বিচারক নাইয়ার আজম খান।
২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ঝাড়গ্রাম মহিলা থানার পুলিশ পরের দিন দুই যুবক সাধন মাঝি ও সুমন দুবেকে গ্রেফতার করে।দু’জনেরই বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের নৃপেন পল্লী এলাকায়। ছাত্রটির বাবা নেই। বাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকেন। ছাত্রী অভিযােগে জানিয়েছিল, ‘আমি স্কুল ও কোচিং যাওয়ার সময় দীর্ঘদিন ধরে ওই যুবকরা।’
রাস্তায় দাড়িয়ে থেকে অশ্লীল ইঙ্গিত করত। তার মায়ের বক্তব্য ফাঁকা রাস্তা থাকলে আমার মেয়ের পিছনে পিছনে গিয়ে তাকে উত্যক্ত করত। টিউশনি পাড়ে বাড়ি ফিরে আসার পথে সাধন মাঝি সাইকেল আটক হাত ধরে টানাটানি শুরু করে। সাধনের সঙ্গী সুমনও তখন ঘটনাস্হলে ছিল। ছাত্রীর চিৎকারে দুই যুবক পালিয়ে গেলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে যায় একথা কাউকে বললে অবস্থা খারাপ হবে।
স্কুল ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঝাড়গ্রাম মহিলা থানার পুলিশ দুই যুবককে গ্রেফতার করে। বছর পঁচিশের সাধনা মাঝি গ্রেফতারের পর জামিনে ছাড়া পেলেও পরে ওই একই কেসে গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছে । এই মামলার চার্জ গঠন হয় ২০১৮ সালের ১৫ ই নভেম্বর ২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। নাবালিকা ছাত্রী, মা, চিকিৎসক সহ মােট ১০ জন সাক্ষ্য দেন আদালতে।
সরকারি কোসুলি শুভাশিয়া দ্বিবেদী বলেন, পক্সো কেসে দ্রুত বিচারের জন্য ২০১৭ সালে ঝাড়গ্রামে পক্সো আদালত চালু হয়। এদিন প্রথম পক্সো কেসে সাজা ঘােষনা করেন বিচারক । গতকাল ৩১ শে জানুয়ারি বিচারক সাধন মাঝিকে দোষী সাবস্ত্য করেন এবং আরেক অভিযুক্ত সুমনা দুবেকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন । এদিন অভিযুক্ত সাধনা মাঝিকে বিচারক তিন বছরের জেল এবং তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরাে ৬ মাসের কারাদণ্ড ঘােষনা করেন।