হাওড়া: বক্সের দাপট শুরু হয়েছিল গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে। তারপর একের পর এক পুজো বিশ্বকর্মা, দুর্গা, লক্ষ্মী, কালী, জগদ্ধাত্রী। এর পর ছিল ২৫ শে ডিসেম্বর বর্ষ শেষের আনন্দ। একটানা চলছে মাইক ও ডিজে বক্সের তান্ডব। সবই প্রশাসনের নাকের ডগায়। আর বর্ষশেষের এক মাস পরেও হাওড়া গ্রামীণ এলাকাজুড়ে পাড়ায় পাড়ায় চলছে সাংস্কৃতিক উৎসবের নামে শব্দ দানবের দাপাদাপি। এসব আয়োজনের মাথায় সর্বত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের দাদাদের মদত। তাই শব্দ দানবের রাশ টানার ক্ষমতা নেই পুলিশের।
হাওড়া জেলার গ্রামীণ এলাকায় সর্বত্র এই শব্দ উৎপাতের মোকাবিলায় পরিবেশ প্রেমিকরাও হাল ছেড়ে দিয়েছেন। বারেবারে প্রশাসনের নজরে নিয়ে এলেও লাভ হয় নি কিছুই। উল্টে প্রতিবাদে হিসেবে নাম জানাজানি হলে হেনস্থার আশঙ্কা বেশি। তাই থাকেন সবাই চুপ করে। এরই মাঝে জীবনের প্রথম পরীক্ষায় বসার চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে নাওয়া খাওয়া ভুলে চুড়ান্ত প্রস্তুতিতে মগ্ন পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু স্বস্তিতে সেই প্রস্তুতি নেওয়ার জো কোথায়?
এর মাঝে ২৩ জানুয়ারি নেতাজি জয়ন্তী আর ২৬ তারিখ প্রজাতন্ত্র দিবস পালন দুই দিবস পালনে যে পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি বারোটা বেজে গেছে সেটা আর বলবার নেই। বিশেষ করে আতঙ্কে রয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। ১২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর দু’দিন আগেই রয়েছে সরস্বতী পুজো। আর সরস্বতী মানেই তো এখন আর একদিনের কোনও বালাই নেই। অন্তত তিন থেকে চার দিনের কোথাও কোথাও ছ’দিনের পুজো ও পুজোর নামে মাইক বক্সের তান্ডব চলবে। হাওড়া জেলার গ্রামীণ এলাকা বাগনান, উলুবেড়িয়া, আমতা, জয়পুর সর্বত্র চিত্রটা মোটামুটি একই রকম।