আমরা সকলেই জানি ভারত কৃষি প্রধান দেশ। নানান ভাষাভাষী দেশ এই ভারতবর্ষ। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের প্রধান জীবিকা কৃষি কাজ। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলা কৃষিকাজের দিক থেকে অনেক এগিয়ে। এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকাজের সাথে যুক্ত। বলা যেতে পারে কৃষিকাজের উপর নির্ভর করে তাদের সংসার চলে। কৃষিকাজের দিক থেকে বহুবার সুনাম কুরিয়েছে দক্ষিন ২৪ পরগনার ভাঙ্গড়। কৃষিজাত পণ্যের দিক থেকে সাড়া দেশের নজর কেড়েছে দক্ষিন ২৪ পরগনার এই অঞ্চল। আমরা সকলেই জানি রোগ প্রতিরোধে সবুজ শাকসবজির কোনো বিকল্প নেই। … আম, পেঁপে, আনারসেও এ উপকার পাওয়া যায়। তরমুজলাল-গোলাপিতে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে লাল ও গোলাপি রঙের ফল ও সবজিতে লাইকোপেন নামের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই লাইকোপেনের নানাবিধি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে। প্রত্যেহ তেতো সবজি ও তেতো পাটশাক খাবারে রুচি বাড়ায় ও মেদ বৃদ্ধির আশঙ্কা কমায়। অনেক সময় নিমগাছের কচি পাতা ভেজেও খাওয়া হয়। এতে ত্বকের চুলকানি ও কৃমি রোধে উপকার পাওয়া যায়। খেতে বসে প্রথম ডিশ হিসেবে যদি তেতো খাওয়া হয়, তাহলে সেটা মুখে লালা ক্ষরণ করে শ্বেতসারকে ভাঙতে সাহায্য করে। এতে হজমের সুবিধা হয় ও লিভারও ভালো থাকে। এছাড়া এলাকার কৃষকদের কৃষিকাজে আরও বেশি করে আগ্রহী করে তুলতে পঞ্চায়েতের তরফ থেকে নানা উদ্যগ নেওয়া হয় ।যেমন কিছুদিন আগে কৃষি প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা সংস্থার উদ্যোগে কৃষকদের মধ্যে সার, বীজ, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও ক্ষতিগ্ৰস্ত মানুষদের মধ্যে চেক বিতরন করা হয়…। এই সকল ব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়ে আরও বেশি করে কৃষকদের কৃষিকাজের ক্ষেত্রে অনুপ্রানিত করার প্রচেষ্টা চালানো হয়। দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার ভাঙ্গড় অঞ্চলে কৃষকদের খ্যাতি আজ বিশ্বজুড়ে। তাদের কৃষিকাজের প্রতি আগ্রহ ও নিষ্ঠা মুগ্ধ করেছে রাজ্যবাসীকে। এছাড়া এই এলাকার উৎপাদিত পণ্য কলকাতা শহরে যায়। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য হাটে বা বাজারে নিয়ে যায় । বলা যেতে পারে ভাঙ্গড় বর্তমানে এক অন্যতম কৃষিক্ষেত্র। কিছুদিন আগে ভাঙ্গরে কৃষি মেলার আয়োজন করা হয় , সেখানে হাজির হয়েছিলেন এলাকার কৃষকরা। তাদের উৎপাদিত পণ্য সকলের সামনে তুলে ধরা হয়। এছাড়া কৃষকরা কি কি সুবিধা পেতে পারে এ বিষয়ে কৃষকদের ওয়াকিবহাল করা হয়। কৃষকদের জন্য কিশান ক্রেডিট কার্ডের ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য আলোচনা হয় এই মেলাতে। স্বাভাবিক ভাবে এই উদ্যেগের ফলে কৃষিকাজের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বাড়িয়েছে কয়েকগুন এই মেলা। আমরা সকলেই জানি আমাদের রোজকার জীবনে শাকসব্জীর গুরুত্ব রয়েছে অনেকখানি। সবুজ শাকসব্জী আমাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায় । কিন্তু এই সকল শাকসব্জী উৎপাদনের দিক থেক সকাল থেকে মাঠে পরিশ্রম কর চলেন ভাঙড়ের কৃষকসমাজ। তাদের উৎপাদিত পণ্যে আজ অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে তাদের জীবনে। সাধারনত এলাকার কৃষকরা চাষ আবাদের ক্ষেত্রে জৈব সার ব্যাবহার করে থাকেন। এছাড়া বছরের বিভিন্ন সময়ে কৃষকদের জন্য নানান ধরনের জৈব কৃশিমেলার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি কৃষকদের চাষ আবাদের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কে কৃষকদের সামনে তুলে ধরা হয়। চলতি বছরে বিভিন্ন ধরনের ফসলের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুন। সাধারনত দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার ভাঙ্গড়ে তীরবর্তি অঞ্চল গুলিতে ধান, ফুলকপি, লঙ্কা , পটল, কলা এই ধরনের ফসলের পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে ভাঙ্গড়ের ফুলের চাষের খ্যাতিও রয়েছে শহর কলকাতা জুড়ে। এই এলাকায় গাঁদা, রজনীগন্ধা, এমনকি গোলাপের চাষ করা হয়। সবদিক থেকে বিশ্লেষণ করলে ভাঙ্গড় কৃষিকাজের দিক থেকে অন্য জেলার থেকে অনেক এগিয়ে। বলা যেতে পারে এই এলাকার কৃষিজাত ফসল উৎপাদনের দিক থেকে কৃষকদের অবদান রয়েছে অনেকখানি। এই কৃষিজাত ফসল ও কৃষক সমাজের সাফল্য ভাঙ্গড়ের মুকুটে নতুন পালক সংযোজন করবে ভবিষ্যতে তা বলাই যায়।
শাকসব্জীর দেশ ভাঙ্গড় ,কৃষকদের খ্যাতি আজ বিশ্বজুড়ে।
শনিবার,২৬/০১/২০১৯
711
শুভ বিশ্বাস---