ফের বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি,মুকুল ও অনিসুরের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান তৃণমূল ও সিপিএমের


শুক্রবার,২৫/০১/২০১৯
1060

কার্ত্তিক গুহ---

পশ্চিম মেদিনীপুর: রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ও পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে মহিলা মোর্চার ডাকে ঐতিহাসিক জনসভা করল বিজেপি। শুক্রবার ঘাঁটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপি মহিলা মোর্চার উদ্যোগে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ধামতোড় চৌরঙ্গী বাজার সংলগ্ন ময়দানে ওই জনসভা হয়। এ দিনের সভায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিজেপির দাপুটে যুব নেতা ও ঘাঁটাল লোকসভার বিজেপির অন্যতম মুখ আনিসুর রহমান বলেন, “আর কয়েকটি দিন পর শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, সারা ভারতবর্ষে আবার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী শপথ গ্রহণ করবেন। পশ্চিমবঙ্গ একটু ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ওয়াশ করতে হবে। ঘাঁটালে একটু পাগলু ড্যান্স দিয়ে তৃণমূলকে ঝাঁটিয়ে বিদায় করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ওগো দিদি শুধু নীল, সাদা রঙ করে বাংলার গণতন্ত্রকে একেবারেই শেষ করে দিয়েছেন। কেশপুরে একটু বাইনোকুলার নিয়ে দেখতে চাই তৃণমূলের কত গুণ্ডা বাহিনী রয়েছে।আমরা ঘাঁটাল মাস্টার প্রকল্প শীঘ্রই করবো। আজ আপনি গণতন্ত্র কণ্ঠরোধ করেছেন, আর মিথ্যে মামলায় জেলে ভরছেন। ১৯ এর মঞ্চে ওয়ান ডে খেলবো, আর ২১ এর মঞ্চে টুয়েন্টি- টুয়েন্টি খেলবো। তৃণমূল এখন তেল-মুড়ি-চপ হয়ে গেছে। আপনারা আর ভয় পাবেন না। তৃণমূল এখন তোলাবাজ গুণ্ডাদের দল হয়ে গেছে, আর পুলিশও তার সাথ দিচ্ছে। ক্ষমতা থাকলে মাত্র ১৫ মিনিট পুলিশকে সরিয়ে দেখাক, আমরা তৃণমূলকে দেখে নিব।”

রাজ্য বিজেপির নেতা মুকুল রায় বলেন, “পশ্চিমবাংলায় এই মুহূর্ত্বে গনতন্ত্র নিধন হয়েছে। এখন আমি শুধুই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছি। আমি ভেবেছিলাম মমতার নেতৃত্বে বাংলায় গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। কিন্তু মমতা বাংলায় গনতন্ত্র ভেঙে তছনছ করে দিয়েছি। বাংলায় আমরা চোরকে সরিয়ে ডাকাতকে ক্ষমতায় এনেছি।” তিনি আরও বলেন, “যদি উন্নয়নেয় ভরসা থাকে তাহলে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৪ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতলে কেন? ব্রিগেডে মমতা সার্কাস দেখিয়েছে। ব্রিগেডে ভারতবর্ষ কিভাবে চলবে তা নিয়ে কোন আলোচনা নেই। শুধু মোদী আর মোদী।মোদী ভারতবর্ষে দাঁড়িয়ে বলছেন ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ’।

আর মমতা বলছে রাফেল। আমি যদি দুর্নীতির ফিরিস্তি দিই তাহলে তৃণমূল ও কংগ্রেস কেউ টিকবে না।কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্পই রাজ্য চুরি করে চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের নাম পালটে রাজ্যে মমতা বলছে আমি করেছি।” তিনি এও বলেন, “সারদা, এমপিএস, রোজভ্যালির টাকা কোথায় গেল? দিদি বলুন তো। প্রয়াগ কোম্পানি তৈরি করেছিল পার্থ চ্যাটার্জী।তাই রাতে সিবিআইয়ের ভয়ে পার্থর ঘুম হচ্ছে না।বিশ্ব বাংলা কে তৈরি করেছিল? টাকা কোথায় গেল? আলিপুর কোর্টে দাঁড়িয়ে অভিষেক ব্যানার্জী বলছে আমি যা করেছি সব পিসি’র জন্য।লোকসভা নির্বাচন পরিচালনা করবেন কেন্দ্রীয় বাহিনী।

তখন তৃণমূল কোথায় যাবে? মমতা পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায়-মহল্লায় করছে শুধু মদের দোকান।বাংলায় মদ খাইয়ে মানুষকে সর্বনাশ করে দিয়েছে। সাড়ে চারশো বছর লেগে যাবে তৃণমূলকে দু’শো আসন পেতে। আপনি ভারতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যদি যে কোন আসন থেকে জিতে আসেন তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব-চ্যালেঞ্জ করছি! বাংলায় হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করেছে তৃণমূল। বাংলায় বিভাজনের জন্য একমাত্রই দায়ী মমতা। আমার স্থির বিশ্বাস, ঘাঁটাল লোকসভায় বিজেপি জিতবে। বাংলায় আমরা ২৬ টি আসনই জিতবো।

এ দিনের সভায় তৃণমূল ও সিপিএমের কয়েকশো নেতা-কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেন। সভায় ছিলেন বিজেপির ঘাঁটাল জেলা বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী শোভা সাঁতরা, ঘাঁটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতা কালীপদ সেনগুপ্ত, বিজেপি নেতা রতন দত্ত, দীপক প্রামাণিক ও জগন্নাথ গোস্বামী প্রমুখ। এ দিনের সভায় প্রায় পঞ্চাশ হাজার বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা হাজির ছিলেন।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট